নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের নামে যারা উপদ্রব করেছে তাদের বিরুদ্ধে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ বড় পদক্ষেপ নিয়েছে। যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) এর সরকার উপদ্রবীদের উপর কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে। এখন পর্যন্ত পরিসংখ্যান অনুসারে, পুলিশ মোট 5558 জনকে আটক করেছে। এছাড়াও 925 জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ পর্যন্ত 213 টি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। কানপুরের এসএসপি অনন্ত দেব জানান, একমাত্র কানপুরে ২১,৫০০ দুর্বৃত্তের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। শহরের বিভিন্ন থানায় ১৫ টি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। বাবুপুরওয়া থানায় 5000 জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। ইয়াতিমগঞ্জ থানায় চার হাজার দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। শহরে ইন্টারনেট 5 দিনের জন্য বন্ধ রয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে যে শান্তি বজায় রাখা হয়েছে এবং গত কয়েকদিনে সহিংসতার কোনও নতুন ঘটনা ঘটেনি। বাজারও খোলা আছে। ডিএম বিজয় বিশ্ব পান্ত জানিয়েছেন যে পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার সাথে সাথেই ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করা হবে। পুরো উত্তর প্রদেশে CAA সম্পর্কিত সহিংসতায় ১৮ জন নিহত হওয়ার খবর রয়েছে। আত্মরক্ষায় সুলেমানকে গুলি করে হত্যা করা ঘটনা বাদে পুলিশ কোথাও গুলি চালানো অস্বীকার করেছে। আসলে সুলেমান পুলিশের বন্ধুক কেড়ে নিয়ে পুলিশের উপরেই গুলি চালিয়েছিল। তাই পুলিশ আত্মরক্ষার জন্য গুলি চালিয়ে ছিল।
যদিও কিছু সংবাদ মাধ্যম বিষয়টিকে এক তরফা পুলিশের উপর চাপিয়ে ছিল বলে অভিযোগে উঠেছিল। সংবাদ মাধ্যম সুলেমানকে UPSC এর পরীক্ষার্থী বলেছিল। অন্যদিকে সুলেমান যে পলিশের উপর গুলি চালিয়ে ছিল তা বেশকিছু সংবাদ মাধ্যম এড়িয়ে গেছিল। প্রধানমন্ত্রী মোদী লখনউতে ভাষণ দেওয়ার সময় উপদ্রবকারীদের নিন্দা করেছিলেন।
যোগী সরকার এখন একশন মুডে রয়েছে। যারা যারা দাঙ্গার সাথে জড়িত তাদের CCTV ক্যামেরায় চিহ্নিত করে বাড়িতে বাড়িতে নোটিস পাঠানো হচ্ছে। নোটিসে দাঙ্গাবাজদের কাউকে ১ লক্ষ ৭০ হাজার, কাউকে ৩ লক্ষ ইত্যাদি হিসেবে সরকারি ফান্ডে টাকা জমার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। কারণ তারা সেই পরিমান অর্থের সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করেছে। উত্তরপ্রদেশের মুজফরনগরে এখনও অবধি ৮০ টি দোকান সিজ করে দেওয়া হয়েছে। মমতা ব্যানার্জী তৃণমূলের এক প্রতিনিধি দলকে উত্তরপ্রদেশ পাঠিয়েছিলেন কিন্তু যোগী পুলিশ তাদেরকে এয়ারপোর্টেই আটকে দেয়। এছাড়াও রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে উত্তর প্রদেশ ঢুকতে দেওয়া হয়নি।