রবিবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতেছে ভারত। তার পরেই শুরু হয়ে গিয়েছে ২০২৭ সালের বিশ্বকাপ জেতার প্রস্তুতি। দু’বছর বাদে বিশ্বকাপ হবে দক্ষিণ আফ্রিকা, জ়িম্বাবোয়ে এবং নামিবিয়ায়। দেশের মাটিতে ২০২৩-এ বিশ্বকাপ হাতছাড়া হওয়ার পর এক দিনের বিশ্বকাপ ঘরে ফেরাতে চায় ভারত। মাঝের এই সময়টা কতগুলি এক দিনের ম্যাচ খেলবে তারা?
২০২৪ সালে মাত্র তিনটি এক দিনের ম্যাচ খেলেছিল ভারত। রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি-সহ একাধিক প্রথম সারির ক্রিকেটার সেই ম্যাচগুলিতে খেলেছিলেন। তবে সিরিজ়টি হেরে যায় ভারত। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নামার আগে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তিনটি এক দিনের ম্যাচ খেলে ভারত। তিনটিতেই জেতে তারা। আগামী বিশ্বকাপের আগে অবশ্য প্রস্তুতির যথেষ্ট সুযোগ থাকছে। সব ঠিক থাকলে, বিশ্বকাপের আগে মোট ২৭টি ম্যাচ খেলবে ভারত।
আপাতত ক্রিকেটারেরা বিশ্রাম নিয়ে আইপিএলে খেলবেন। তার পরে ইংল্যান্ডে টেস্ট সিরিজ়ের পর ভারত এক দিনের সিরিজ় খেলবে বাংলাদেশের মাঠে। তিনটি ম্যাচ খেলবে তারা।
এ বছরের অক্টোবর-নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তিনটি এক দিনের ম্যাচ খেলবে ভারত। তার আগে এশিয়া কাপ রয়েছে। যদিও সেটি হবে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে। অস্ট্রেলিয়ার পর নভেম্বর-ডিসেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে তিনটি এক দিনের ম্যাচ রয়েছে।
পরের বছর জানুয়ারিতে ঘরের মাঠে নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে তিনটি এক দিনের ম্যাচ খেলবে ভারত। এর পর শ্রীলঙ্কার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করবে ভারত। তার পরেই রয়েছে আইপিএল।
সেই প্রতিযোগিতা শেষ হলে, পরের জুনে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম বার দ্বিপাক্ষিক এক দিনের সিরিজ় খেলবে ভারত। তিনটি ম্যাচ রয়েছে। এর পর জুলাই মাসে ভারত আবার যাবে ইংল্যান্ডে। সেখানে তিনটি এক দিনের ম্যাচ এবং পাঁচটি টি-টোয়েন্টি খেলবে তারা।
পরের বছর সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের বিরুদ্ধে এক দিনের সিরিজ় রয়েছে। তার পরে নিউ জ়িল্যান্ডে গিয়ে সাদা বলের সিরিজ় রয়েছে।
ভারতের শেষ সিরিজ় হবে ২০২৭ সালের জানুয়ারিতে। ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে সিরিজ় খেলবে তারা।
এতগুলি ম্যাচ পাওয়ায় প্রস্তুতির যথেষ্ট সুযোগ পাওয়া যাবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। রোহিত-কোহলিরা যদি বিশ্বকাপে খেলতে চান, তা হলে তাঁরা অনেকগুলি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবেন। নতুন কাউকে পরখ করে নিতে চাইলে তার জন্যও সময় পাওয়া যাবে।