পরপর তিনদিন কলকাতায় নাগরিকতা সংশোধন আইনের (CAA) বিরুদ্ধে পথে নেমেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জী। এবার নাগরিকতা আইনের সমর্থনে রাস্তায় নামল বিজেপি। আজ বিজেপির সর্বভারতীয় কার্যকারী সভাপতি জেপি নাড্ডার নেতৃত্বে রাস্তায় নেমেছে বঙ্গ বিজেপির নেতা, কর্মী এবং সমর্থকেরা। বিজেপির নেতাদের দাবি অনুযায়ী, আজ রাস্তায় প্রায় এক লক্ষ মানুষের সমাগম হবে।
আরেকদিকে আজ নাগরিকতা আইন এবং নাগরিকপঞ্জীর বিরুদ্ধে রাস্তায় নামছে বাম ছাত্র সংগঠন এসএফআই। যেহেতু আজ দুটি সংগঠন একসাথে রাস্তায় নামছে, সেহেতু নিরপত্তার ব্যাবস্থাও করা হয়েছে জোরালো। দুই দলের মিছিল থেকে কোন অপ্রীতিকর পরিস্থিতি রুখতে মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। আজ হুড খোলা জিপে করে বিজেপির কার্যকারী সভাপতি জেপি নাড্ডা কলকাতার রাস্তায় মানুষকে ধন্যবাদ জানাচ্ছেন।
সুত্র অনুযায়ী, আজ দক্ষিণবঙ্গের পর আগামীকাল উত্তরবঙ্গেও একটি কর্মসূচী পালন করা হবে। যদিও ওই কর্মসূচীতে বিজেপির কার্যকারী সভাপতি জেপি নাড্ডা উপস্থিত থাকবেন না বলে খবর। নাগরিকতা সংশোধন বিল সংসদের দুটি ভবন থেকে পাশ হওয়ার পর পশ্চিমবঙ্গ সমেত গোটা দেশে হিংসা ছড়িয়ে পড়েছে। এরাজ্যের জায়গায় জায়গায় কোটি কোটি টাকার সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করা হয়েছে, আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে ট্রেনে। আর এই কারণে রাজ্যের অনেক রুটে এখনো ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়নি।
যদিও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী ট্রেন বন্ধ করার জন্য কেন্দ্রকে সরাসরি দায়ী করেছেন। উনি বলেছেন, দু একটা ছোট ঘটনার জন্য কেন্দ্র সরকার রাজ্যে ট্রেন বন্ধ করে দিয়েছে। আরেকদিকে রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ রাজ্যে অশান্তি ছড়ানোর জন্য লুঙ্গি বাহিনীকে দায়ী করেছেন। উনি বলেছেন, এবার লুঙ্গি বাহিনী উপদ্রব করতে আসলে এমন দাওয়াই দেব যে, লুঙ্গি ছেড়েই তাঁরা বাংলাদেশে পালিয়ে যাবে।