সংসদে সিএএ পাশ হওয়ার পর আজ দিল্লীর রামলীলা ময়দানে ছিল বিজেপির প্রথম বড় জনসভা। সেখানে প্রধান বক্তা হিসেবে মোদী কি বার্তা দেন তা দিকে তাকিয়ে ছিল গোটা দেশ। বিশেষ করে সিএএ পরবর্তী পরিস্থিতে যখন দেশ জুড়ে চলছে প্রতিবাদ প্রতিরোধ।
বিরোধীদের দিকে উঠেছে অরাজকতায় মদত দেওয়ার অভিযোগ। তখন প্রথমবারের জন্য প্রকাশ্য জনসভায় সিএএএর প্রধান দুই কারিগরের একজন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কি বলেন তা শোনার জন্য অপেক্ষায় ছিলেন গোটা দেশের বিজেপি কর্মীরা। আর সেই জনসভা থেকেই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে তীব্র আক্রমণ শানালেন মোদী।
কিছুদিন আগে কলকাতায় সিএএ বিরোধী একটি মিছিলেন শেষে বক্তৃতা দিতে গিয়ে মুখ ফসকে রাষ্ট্রপুঞ্জের তত্ত্বাবধানে ভোটাভুটির দাবী করে বসেন তৃণমূল নেত্রী। তা নিয়ে অবশ্য তিনি পরে সাফাইও দেন। তবে প্রিণ্ট, ইলেকট্রনিক ও সোশাল মিডিয়াতে হয় ব্যাপক বিতর্ক।
আজ সিএএ নিয়ে বিরোধীদের জবাবি জনসভায় মোদী ফের সরব হন তা নিয়ে। তিনি বলেন, দিদি কলকাতা থেকে দিল্লীকে পাশ কাটিয়ে সোজা চলে গেছেন রাষ্ট্রপুঞ্জে। অথচ এই নেত্রীই একদিন সংসদে অনুপ্রবেশ ইস্যুতে সংসদে ব্যাপক হাঙ্গামা করে কাগজ অবধি ছিঁড়ে ফেলেছিলেন।
তা দেখেছিল গোটা দেশ। হঠাৎ সেই দিদিরই সিএএ পাশ হওয়ার পরে এত পরিবর্তন কেন তা জানতে চান মোদী। তিনি আরো বলেন বাংলার জনতার উপর বিশ্বাস নেই দিদির।
কয়েকবছর আগে কলকাতায় হওয়া রুটিন সামরিক ড্রিলকে সেনা অভ্যুত্থান বলে গুজব ছড়ানোকেও পুনঃরায় কটাক্ষ করেন মোদী। জবাবে তৃণমূলের পক্ষ থেকে অবশ্য এখনও কোনো বিবৃতি পাওয়া যায়নি। তবে দেশজুড়ে সিএএ নিয়ে হওয়া প্রতিবাদ প্রতিরোধকেই নিশানা করে মোদী জবাবি আক্রমন শানিয়েছেন বলেই অভিমত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।