সোমবার রাতে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগের বেশ কয়েক জন প্রসূতি অসুস্থ হয়ে পড়েন। ভুল ইঞ্জেকশন থেকেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ তুলছেন অসুস্থদের পরিবারের সদস্যেরা!
অসুস্থ প্রসূতিদের মধ্যে কয়েক জনের পরিবারের দাবি, সন্তানের জন্ম দেবার পর সকলেই ভাল ছিলেন। কিন্তু সোমবার সন্ধ্যায় একসঙ্গে তিনটি ইঞ্জেকশন দেওয়ার পর থেকেই দ্রুত অসুস্থ হয়ে পড়েন তাঁরা। দেহে কাঁপুনি হতে থাকে। অনেকের জ্বর আসে। এই পরিস্থিতিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তড়িঘড়ি পরিবারের সদস্যদের ডেকে পাঠালেও রোগীর সঙ্গে দেখা করতে দিচ্ছেন না বলে অভিযোগ।
ইঞ্জেকশন থেকেই এমন ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে ইতিমধ্যেই। বিষয়টি নিয়ে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ মৌসুমী বন্দ্যোপাধ্যায় ফোনে জানান, একটি ‘অ্যালার্জিটিক’ সমস্যা হয়েছে ইঞ্জেকশন দেবার পর। তাঁরা আরও তথ্য সংগ্রহ করছেন। সাত জন প্রাথমিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লেও পরবর্তী সময়ে তাঁরা অনেকটা সুস্থ হয়েছেন বলে অধ্যক্ষের দাবি।
অসুস্থ দুই প্রসূতির পরিবারের সদস্য সুবল দাস এবং জয়দেব মণ্ডলদের অভিযোগ, সোমবার সন্ধ্যায় নার্সেরা ইঞ্জেকশন দেওয়ার পরেই ১০-১২ জন প্রসূতি অসুস্থ বোধ করেন। শুরু হয় খিঁচুনি। পাশাপাশি জ্বর আসে। তাঁদের অভিযোগ, যাঁরা ইঞ্জেকশন দিয়েছেন, তাঁইইরা কেউ প্রশিক্ষিত নন। খালি পেটে পর পর তিন-চারটি ইঞ্জেকশন নেওয়ার কারণেই প্রসূতিরা অসুস্থ বোধ করেন বলে সুবলদের দাবি।
প্রসঙ্গত, জানুয়ারি মাসের গোড়ায় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে সন্তান প্রসবের পর পাঁচ মহিলা অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। অভিযোগ উঠেছিল, স্যালাইন দেওয়ার পরেই তাঁরা অসুস্থ বোধ করেন। অসুস্থ এক প্রসূতির মৃত্যু হয়েছিল। পরে মৃত্যু হয় অন্য এক প্রসূতির সদ্যোজাত সন্তানের। রিঙ্গার্স ল্যাকটেট স্যালাইন দেওয়ার পরেই এই অসুস্থতা এবং মৃত্যু বলে দাবি করা হয়েছিল সে সময়।