সবে নাকি ট্রেলার লঞ্চ হয়েছে। আসল সিনেমা এখনও মুক্তি পায়নি। এমনই মেজাজ শীতের। তবে বড়দিনের পর হালকা দু-এক পশলা বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণবঙ্গে। আর তার ফলে কমতে পারে তাপমাত্রা।
বড়দিনের মুখে এমন টানা শীত কবে পেয়েছে মনে করতে পারছে না শহরবাসী। গত বুধবার ১১তে নেমে গিয়েছিল। তারপর থেকে ধীরে ধীরে বাড়ছে তাপমাত্রা। তার সামান্য হেরফের হল এদিন। শনিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রবিবার তা থেকে সামান্য কমে দাঁড়াল ১২.৪-এ। তবে সামান্য হলেও তাপমাত্রা বাড়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। কিন্তু এও জানিয়েছে, শীতের এমন কামড় বজায় থাকবে বড়দিনেও।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, আসলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা সামান্য বাড়লেও দিনের তাপমাত্রা এতটাই নেমে যাচ্ছে যে ফুলহাতা সোয়েটার পরেও কাঁপুনি থামানো যাচ্ছে না। স্নানের ঘরে ঠান্ডা জলে হাত ছোঁয়াতে গিয়ে গায়ের লোম খাড়া হয়ে যাচ্ছে আম জনতার। রবিবারই যেমন। এদিন স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় ৬ ডিগ্রি নেমে যায় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। দিনের বেলা রোদ থাকলেও তার তেজ ছিল, না থাকার মতোই। হাঁড়-কাঁপানো উত্তুরে হাওয়ায় বেলা পর্যন্ত লেপের তলা থেকে বের হতে পারেননি অনেকেই। প্রাক-বড়দিনে এমন আবহাওয়ার পূর্বাভাসে চওড়া হাসি সকলের মুখে।
জানা গিয়েছে, বড়দিনে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ১৪’র আশপাশে। তবে দিনের তাপমাত্রা কত থাকবে তা এখনই নিশ্চিত করে বলতে পারছে না হাওয়া অফিস। আজ সোমবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ১৩ ডিগ্রি। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ২২-এর ঘরে।
এদিকে বড়দিন কাটলেই হালকা দু-এক পশলা বৃষ্টি পেতে পারে দক্ষিণবঙ্গ। স্যাঁতসেঁতে হাওয়ায় ভর করেই ঠান্ডা আরও বাড়বে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। দক্ষিণবঙ্গে আগামী ৪৮ ঘণ্টা উত্তুরে হাওয়ার প্রকোপ জারি থাকবে। ইতিমধ্যেই পশ্চিমাঞ্চলের কয়েকটি জেলায় শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। আসানসোলের তাপমাত্রা নেমে গিয়েছে ১১.৮ সেলসিয়াসে। উত্তরবঙ্গেও তাপমাত্রা ক্রমশ নামছে। রবিবার দার্জিলিংয়ের তাপমাত্রা ছিল ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। উত্তর দিনাজপুর-সহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় সূর্যের দেখা পাওয়া যাচ্ছে না গত দু’দিন ধরে। সেই সঙ্গে রয়েছে ঘন কুয়াশা। হাড়হিম করা ঠান্ডা ভালই উপভোগ করছেন উত্তরবঙ্গ ঘুরতে আসা পর্যটকরা। শহর কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গেও কুয়াশা থাকবে আগামী তিন-চার দিন।