নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসি নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই উত্তরপ্রদেশের একাধিক জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে তুমুল বিক্ষোভ। যোগীরাজ্যের একাধিক শহরে কেন্দ্রীয় আইনের প্রতিবাদের নামে এককথায় তাণ্ডব চলে। লখনউ-সহ উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন এলাকায় হিংসায় যুক্ত থাকার অভিযোগে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উত্তরপ্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী দীনেশ শর্মা জানিয়েছেন, রাজ্যজুড়ে চলা হিংসায় ধৃতদের মধ্যে ৬ জন পশ্চিমবঙ্গের মালদহের বাসিন্দা।
নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসির প্রতিবাদে দেশজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। প্রতিবাদের আগুন জ্বলছে এরাজ্যেও। মোদি সরকারের প্রতিবাদে পথে নেমে আন্দোলনে সামিল হয়েছে বিজেপি বিরোধী একাধিক রাজনৈতিক দল ও সংগঠন।
একইসঙ্গে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরাসরি তোপ দেগে পথে নেমেছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীও। কেন্দ্রীয় পদক্ষেপের বিরুদ্ধে আন্দোলন তীব্র আকার নেয় বিজেপিশাসিত উত্তরপ্রদেশেও। যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যে রবিবার পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকায় হিংসার ঘটনায় ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
প্রতিবাদের নামে রাজধানী লখনউ, সম্ভল-সহ একাধিক শহরে চলে তাণ্ডব। গাড়িতে আগুন ধরিয়ে, ভাঙচুর করে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে চলে আন্দোলন। পরিস্থিতি মোকাবিলায় হিমশিম দশা হয় পুলিশের। কখনও লাঠিচার্জ করে কখনওবা জলকামান ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটিয়ে পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করে পুলিশ। হিংসায় যুক্ত থাকার অভিযোগে বহু আন্দোলনকারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে ৬ জন পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে।
নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে দেশের একটি বড় অংশে চলছে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ। মোদি-শাহদের বিরুদ্ধে প্রথমে বিক্ষোভ দানা বাঁধে উত্তর-পূর্বের অসম, ত্রিপুরা, মণিপুরে। পথে নেমে কেন্দ্রীয় আইনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন সাধারণ মানুষ। অসমের একাধিক শহরে বাসল পুড়িয়ে, রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে চলে আন্দোলন। একইভাবে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ চলে ত্রিপুরা, মণিপুরেও। পরিস্থিতি আয়ত্তের বাইরে চলে যাওয়ার আগেই অসম ও ত্রিপুরায় সেনা মোতায়েন করা হয়। তারপর বিক্ষোভের আগুন জ্বলে পশ্চিমবঙ্গ-সহ দিল্লি ও উত্তরপ্রদেশে।