২২ শে ডিশেম্বর, রবিবার সকালে “Nationalist Citizen Forum” ও “Bengalis in Bangalore”-এর যৌথ উদ্যোগে CAA-এর সমর্থনে আয়োজিত এই সমাবেশে বাঙ্গালীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
শহরের বহু বাঙ্গালী প্রযুক্তিবিদ, প্রতিষ্ঠিত ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার, গবেষক, রিসার্চ স্কলার ও বেঙ্গালুরুতে পড়তে আসা বাঙ্গালী ছাত্রছাত্রীরাও আজ পথে নেমেছিলেন সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের সমর্থনে।
তাদের সকলের মুখে ছিল একই বক্তব্য: “ভারতীয় নাগরিকত্ব দেশভাগে বিপর্যস্ত ভিটেহারা বাঙ্গালীর জন্মগত অধিকার। ধর্মীয় হিংসা ও গণহত্যার কারণে বাংলাদেশ থেকে বিতাড়িত কয়েক কোটি বাঙ্গালী হিন্দু, বৌদ্ধদের জন্য ভারতীয় নাগরিকত্ব হল এক সামাজিক রক্ষাকবচ।
পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, মেঘালয়, আন্দামান ও দন্ডকারণ্য সহ দেশের বহু রাজ্যে বসবাসকারী প্রায় দুই কোটি বাঙ্গালী এর দ্বারা সরাসরি উপকৃত হবেন। এর মধ্যে প্রায় দেড় কোটি বাঙ্গালীই হলেন মতুয়া, নমঃশূদ্র ও রাজবংশীসহ বিভিন্ন তপশীলি ও পিছিয়ে পড়া সমাজের, যাদের কাছে দীর্ঘ আকাঙ্খিত এই নাগরিকত্ব মানবতা ও মানবাধিকারের এক বিশাল বড় আশীর্বাদ”।
সমাবেশে উপস্থিত বেঙ্গালুরুতে চাকুরীরত প্রযুক্তিবিদ ঋষিরাজ পাল ও সুমিত রায়রা বললেন, “যারা আজ ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতির জন্য CAA-এর অন্ধবিরোধিতা করছেন, তারা আর যাই হোক, কোনোভাবেই বাঙ্গলা ও বাঙ্গালীর মঙ্গল চাইছেন না”। বিরোধীরা প্রকৃতপক্ষে দুই কোটি উদ্বাস্তু বাঙ্গালীর সাথে শত্রুতা করছেন বলেই তারা মনে করেন।