ডিজিটাল ইন্ডিয়ায় আধুনিকভাবে টোল ট্যাক্স আদায় করার জন্য আনা হয়েছিল fastag। জানানো হয়েছিল এর ফলে সহজ হবে টোল ট্যাক্সের বিষয়টি। আর তার সঙ্গে এড়ানো যাবে যানজট । এছাড়াও জানানো হয়েছিল কোন কোন জায়গা থেকে পাওয়া যাবে এইfastag। আর এবারে সামনে এল fastag নিয়ে আয়ের তথ্য।
জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যে ইস্যু করা হয়েছে প্রায় এক কোটির উপরে fastag। যার ফলে টোল বাবদ প্রতিদিন আয় হয়েছে ২১ লক্ষ টাকার উপরে। শুধু তাই নয়, প্রতিদিন এই fastag সংক্রান্ত লেনদেনের ফলেই আয় হয়েছে প্রায় ৪২ কোটি টাকার কাছাকাছি।
আগে জানানো হয়েছিল এই নয়া ব্যবস্থায় এনএইচআইসি-র আওতায় থাকা জাতীয় সড়কগুলিতে আরএফআইডি-নির্ভর ফাস্ট্যাগ মারফত টোল আদায় করা হবে। ফলে গাড়ির মালিকদের এই ফাস্ট্যাগ কিনে নিয়ে তার গাড়ির সামনের উইন্ডো স্ক্রিনে স্টিকারের মতো করে লাগিয়ে রাখতে হবে। আর টোল প্লাজা অতিক্রম করার সময় ওই স্টিকার থেকে বৈদ্যুতিক পদ্ধতিতে নিজে থেকেই টোল বাবদ অর্থ কেটে নেবে মেশিন।
কেন্দ্রীয় পরিবহণ দফতরের এক শীর্ষ কর্তা জানিয়েছিলেন টোল আদায়ের এই নয়া ব্যবস্থা মসৃন ভাবে যাতে চালু করা যায় তারজন্য প্রয়োজনীয় পদ্ধতি অবলম্বন করা হচ্ছে৷ গাড়ির মালিকদের ফাস্ট্যাগ ব্যবহার করার জন্যও সচেতন এবং উৎসাহিত করা হচ্ছে। আর এবারে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসাতে অবাক হয়েছেন অনেকেই। ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে যাতে খুব দ্রুত এবং সহজেই টোল ট্যাক্স আদায় করা যায় সেই কারণে আনা হয়েছে এই সুবিধা।
যে বিষয়গুলিতে খেয়াল রাখা উচিত-
১. বিভিন্ন পিওএস থেকে ১ কোটির উপরে fastag ইস্যু করা হয়েছে। যার মধ্যে কেবলমাত্র নভেম্বর এবং ডিসেম্বরেই হয়েছে অধিকাংশ। ২. এছাড়াও হাইওয়ে অথরিটির তরফ থেকে জানা গিয়েছে প্রতিদিন ১.৫-২ লক্ষ fastag বিক্রি হয়েছে। যার ফলে বোঝা গিয়েছে সাধারণ মানুষ বেশ ভালভাবে গ্রহণ করেছে এই সুবিধা। ৩. ফল বাবদ প্রায় ৪২ কোটি টাকার কাছাকাছি আয় হয়েছে
৪. দেশ জুড়েই লাগু করা হয়েছে এই fastag. ৫. সব বিষয়ে স্বচ্ছতা রাখার জন্য এই fastag যথেষ্ট সুবিধাদায়ক। ইতিমধ্যে অনেক জায়গাতে শুরু হয়েছে এই পরিষেবা। তবে যেখানে শুরু হয়নি সেখানেও দ্রুত কাজ চলছে বলে জানা গিয়েছে।