পাকিস্তানের সাত উদ্বাস্তু হিন্দুকে নাগরিকত্ব দিল ভারত৷ তাদের হাতে সার্টিফিকেট তুলে দেওয়া হয়েছে৷ শুক্রবার কেন্দ্রীয় জাহাজ মন্ত্রী মনসুখ এল মাণ্ডব্য জানিয়েছেন,গুজরাতের মোর্বি ও কচ্ছ জেলায় ওই সাতজন উদ্বাস্তু এসে ছিলেন৷ এদিন, তাঁদের হাতে সার্টিফিকেট তুলে দিয়েছেন তিনি৷
নতুন নাগরিক সংশোধনী আইনে বলা হয়েছে, আফগানিস্তান, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা বিতাড়িত হয়ে ভারতে এলে, তাঁদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। ১৯৫৫-র নাগরিকত্ব আইনের এই সংশোধনী অনুযায়ী, ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে ভারতে আসা অন্য দেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে তার জন্য ছ’বছর এ দেশে বাস করতে হবে। যদি তাঁরা অবৈধ অভিবাসী বলে চিহ্নিত হন, তাহলে তাঁরা স্বাভাবিক নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন না, তা সে যে ধর্মেরই হোন না কেন।
এদিকে, এই আইন পাশ হওয়ার পরই গোটা দেশ অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে৷ পশ্চিমবঙ্গ সহ বেশ কয়েকটি অবিজেপি রাজ্য নতুন নাগরিকত্ব আইন মানবে না বলে জানিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে আইনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে পিটিশনও ফাইল করা হয়েছে।সরকার এই পরিবর্তিত আইনকে সহানুভূতিশীল বলে দাবি করা সত্ত্বেও বিরোধীরা একে মুসলিম বিরোধী ও অসাংবিধানিক বলে অভিহিত করছে৷
বিরোধীদের দাবি, সরাসরি এই সংশোধনীতে ভারতীয় নাগরিকদের বাদ দেবার কথা বলা নেই। তবে অসমের এনআরসি এবং নতুন নাগরিকত্ব আইন আলাদা করে দেখা যাবে না। চূড়ান্ত এনআরসি তালিকা থেকে ১৯ লক্ষের নাম বাদ পড়েছে। নতুন আইন বাঙালি হিন্দুদের নাগরিকত্ব দেবার একটা সুযোগ দিচ্ছে, কিন্তু সে সুযোগ পাচ্ছেন না মুসলমানরা। তাঁদের আইনি পথে লড়তে হবে।
অমিত শাহ এবং বিজেপি নেতারা বলছেন, অসমের এনআরসি পদ্ধতি সারা দেশে লাগু করা হবে। এর ফলে ভারতীয় মুসলিমদের মধ্যে আশঙ্কার পরিবেশ দেখা দিয়েছে। রাজনৈতিক দিক থেকে, এই আইনের সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়বে পশ্চিমবঙ্গ ও উত্তরপূর্বের রাজ্যগুলিতে। অসম ও পশ্চিমবঙ্গে ভোট হবে ২০২১ সালে।