কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এমন ব্যবস্থা করতে চলেছে যাতে সশস্ত্র সীমা বল (এসএসবি)-এর প্রতিটি জওয়ান বছরে কমপক্ষে ১০০ দিন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে থাকতে পারেন| বৃহস্পতিবার এমনই মন্তব্য করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ| বৃহস্পতিবার দক্ষিণ-পশ্চিম দিল্লির ঘিতোরনিতে এসএসবি-র ৫৬ তম বার্ষিকী প্যারেড শেষে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, ‘এসএসবি জওয়ানরা কমপক্ষে ১০০ দিন যাতে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে থাকতে পারেন, এ বিষয়ে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক|’ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, এসএসবি জওয়ানদের সুবিধার্থে প্রচুর সুবিধা প্রদানের কাজ করছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক| অবসরকালীন বয়স ৫৭ থেকে বাড়িয়ে ৬০ করা হয়েছে|
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এদিন বলেছেন, যখনই ভারতের ঐক্য ও অখণ্ডতার ইতিহাস লেখা হবে, তখনই এসএসবি-র কৃতিত্ব ও কাজ স্বর্ণাক্ষরে অঙ্কিত থাকবে| ভারত-চিন যুদ্ধের পর যখন এসএসবি-র প্রতিষ্ঠা হয়েছিল, তখন সীমান্তবর্তী গ্রাম এবং ভারতের সঙ্গে জড়িত থাকার সাংস্কৃতিক অনুভূতি জাগ্রত করা এসএসবি-র কাজ ছিল| এসএসবি অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে এই দায়িত্ব পালন করেছে| স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেছেন, যারা ভারতে শান্তি দেখতে চান না, তারা ভারতে প্রবেশ করার জন্য নেপাল ও ভুটান সীমান্ত ব্যবহার করছে| সীমান্তে মোতায়েন জওয়ানদের জন্যই দেশের ১৩০ কোটি মানুষ নিশ্চিন্তে ঘুমোতে পারছেন|
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কথায়, যেখানে যেখানে এসএসবি জওয়ানরা মোতায়েন রয়েছেন, তা সে বন্ধু দেশের সীমান্ত, কাশ্মীর ও মাওবাদী অধ্যুষিত অঞ্চলই হোক, তাঁরা সর্বদাই নিষ্ঠার সঙ্গে নিজেদের দায়িত্ব পালন করছেন| অমিত শাহ বলেছেন, এসএসবি হল দেশের প্রথম সীমা সুরক্ষা বল, যেখানে ২০০৭ সালে সর্বপ্রথম মহিলাদের মোতায়েন করা হয়েছে| সেই সময় থেকে এযাবত্ মহিলা সুরক্ষা কর্মীরা আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে নিজেদের দায়িত্ব পালন করে চলেছেন| এসএসবি জওয়ানরা সতর্ক প্রহরীর মতো দেশের সীমান্ত রক্ষা করে চলেছেন, এজন্যই দেশের অগ্রগতি হচ্ছে| ভারত এখন বিশ্বের সপ্তম অর্থনীতি, আপনাদের ত্যাগ এবং বলিদানের জন্যই তা সম্ভব হয়েছে|
2019-12-20