অমিতাভ বচ্চনের ২০১২ এর পোস্টকে ২০১৯ এর জামিয়া হিংসার নামে চালালো এইসময় (Eisamay) পত্রিকা

গত রবিবার দিল্লীর জামিয়া এলাকায় জামিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা প্রদর্শনের নামা চরম হিংসা ছড়ায়। আর সেই হিংসার কারণে দিল্লী পুলিশ কড়া ব্যাবস্থা নিয়ে বাধ্য হয়। দিল্লীর জামিয়া এলাকায় জামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের নামে তিনটি সরকারি বাসে আগুন ধরায়, আর সেখানেও থেমে না থেকে তাঁরা একটি দম কলের গাড়িতেও আগুন ধরিয়ে দেয়। এছাড়াও আম জনতার বাহনে ভাঙচুর চালায়।

দিল্লী পুলিশ কড়া পদক্ষেপ নিয়ে প্রথমে ছাত্রদের ছত্রভঙ্গ করার জন্য কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে। এরপর লাঠিচার্জ করা হয়। এরপর দিল্লী পুলিশ উপদ্রবি ছাত্রদের কলেজ ক্যাম্পাসে ঢুকে মারধর করে। জামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের উগ্র প্রদর্শনে দিল্লী পুলিশের ১২ জন জওয়ান গুরুতর আহত হন। এরপর জামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন ছাত্রকে গ্রেফতারও করে দিলী পুলিশ। কিন্তু পড়ে তাঁদের ছেড়েও দেওয়া হয়।

দিল্লী পুলিশের লাঠিচার্জের প্রতিবাদে জামিয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সুপ্রিম কোর্টের দরজায় কড়া নারে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট এই মামলার শুনানি না করে হাই কোর্টে পাঠিয়ে দেয়, আর জামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের প্রথমে হিংসা বন্ধ করার পরামর্শ দেয়। এরপর জামিয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মৌখিক ভাবে উচ্চস্তরীয় তদন্তের দাবি করে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে কেন্দ্রীয় মানব সংশাধন মন্ত্রালয়ে পাঠানো রিপোর্টে কোন উচ্চস্তরীয় তদন্তের দাবির কথা উল্লেখ করা থাকেনা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.