অবশেষে মহাকুম্ভে কত মৃত্যু, তা পরিষ্কার জানিয়ে দিল উত্তর প্রদেশ পুলিস। ফলে, কয়েকঘণ্টা সরকারি ভাবে জানা গেল, মহাকুম্ভের বিপর্যয়ে কত মৃত্যু হয়েছে। কত মৃত্যু হয়েছে? জানা গিয়েছে, অন্তত ৩০ জনের মৃত্যু ঘটেছে। আহত হয়েছেন ৬০ পুণ্যার্থী। মৃতদের মধ্যে ২৫ জনকেই শনাক্ত করা গিয়েছে।
গতকাল, মঙ্গলবার রাত দুটো নাগাদ মহাকুম্ভে স্নান করতে গিয়ে পদপিষ্ট হয়েছিলেন বহু মানুষ। প্রথম পর্যায়ে পাওয়া খবর অনুযায়ী পদপিষ্টের ঘটনায় আহত হয়েছিলেন কয়েকশো মানুষ। পাশাপাশি ১৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছিল। তবে তা সরকারিভাবে তখনও ঘোষণা করা হয়নি। পরিস্থিতি মোকাবিলায় শাহি স্নান বন্ধ করা হয়েছে। মোতায়েন হয়েছে বিপুল সংখ্য়ক পুলিস।
কীভাবে ঘটল এমন দুর্ঘটনা? টানা ১২ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ঘাট তৈরি করা হয়েছে স্নানের জন্য। মৌনী অমাবস্যা উপলক্ষ্যে গতকাল মেলায় গিয়েছিলেন প্রায় এক কোটি মানুষ। গতকাল রাত দুটো নাগাদ ঘাটের ব্যারিকেড ভেঙে যায়। তার পরেই শুরু হয়ে যায় হুড়োহুড়ি। তাতেই পদপিষ্ট হন বহু মানুষ। আহতদের মধ্য়ে রয়েছেন কমপক্ষে ৩০ জন মহিলা।
মহাকুম্ভের একজিকিউটিভ অফিসার আকাঙ্খা রানা জানিয়েছিলেন, সঙ্গমঘাটে ব্যারিকেড ভেঙে পড়তেই হুড়োহুড়ি শুরু হয়। তাতেই পদপিষ্ট হয়ে যান অনেকে। ঘটনার পরপরই আহতদের গ্রিন করিডোর করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। শুরু হয় উদ্ধারকাজ। সঙ্গম এলাকায় যে অংশকে ‘নোজ’ বলা হচ্ছে তার আয়তন ২ হেক্টর। সেখানেই স্নানের জন্য জমা হয়েছিলেন ৩ লাখ মানুষ। কিন্তু খুব বেশি হলে ওই জায়গায় ২ লাখ মানুষের জায়গা হতে পারে। ফলে অত্যধিক ভিড় জমে যায়। এরকম পরিস্থিতিতে কোনও হুড়োহুড়ি হলে কী হতে পারে তা সহজেই অনুমেয়।
ইতিমধ্যেই গত ২৩ জানুয়ারির হিসেব অনুযায়ী মহাকুম্ভে আসা মানুষজনের সংখ্যা ১ কোটি পেরিয়ে গিয়েছিল। ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই সংখ্যাটা সাড়ে চার কেটি হয়ে যেতে পারে। এরকম পরিস্থিতিতে এই ঘটনায় উত্তেজনা সৃষ্টি হল মহাকুম্ভে।