পর্ব ২
রাজার কণ্ঠের সুরে লাগল অশ্রুর ছোঁওয়া। বললে, “যাকে দয়া করলে যেত তোমার হৃদয় ভরে,তাকে ঘৃণা করে কেন পাথর করলে মনকে।”
“রসবিকৃতির পীড়া সইতে পারি নে” বলে মহিষী উঠে পড়ল আসন থেকে। রাজা হাত ধরে বললে,“একদিন সইতে পারবে আপনারই আন্তরিক রসের দাক্ষিণ্যে। কুশ্রীর আত্মত্যাগে সুন্দরের সার্থকতা।”
ভ্রূ কুটিল করে মহিষী বললে, “অসুন্দরের জন্যে তোমার এই অনুকম্পার অর্থ বুঝি নে। ঐ শোনো,উষার প্রথম কোকিলের ডাক। অন্ধকারের মধ্যে তার আলোকের অনুভূতি। আজ সূর্যোদয়মুহূর্তে তোমারও প্রকাশ হোক আমার দিনের মধ্যে,এই আশায় রইলেম।”
হ্যাঁ কুশ্রীর আত্মত্যাগে সুন্দরের সার্থকতা। তাকে যে আমাদের সহ্য করতেই হয়। না হলে শিল্পী ও তাঁর শিল্পের সার্থকতা কোথায়? অসুন্দর মানেই তা রসবিকৃতি নয়। সে পীড়া যিনি সহন করতে পারেন তিনিই তো রসময়।
পূর্ব পর্বে আমি চারটি টেরাকোটা মন্দিরের কথা উল্লেখ করেছিলাম। যেখানে সুন্দরের মাঝেও হঠাৎ করে একটি ফলকে অসুন্দরের আহবান করা হয়েছে। সেখানে মৃত্যু আছে, ভয়াল অন্ধকারের কথা বলা হয়েছে, সেখানে পীড়া আছে। জাগতিক জীবনের শেষ পর্যায়ে জীবের পরিণতি অনেক রকম হতে পারে সেকথা বলা হয়েছে। কিন্তু কে? কেন সেই মন্দিরে কুশ্রীর এমন আবাহন?
পূর্বে আমি বলেছিলাম যে একটি মন্দির বাদ দিয়ে বাকি তিনটি মন্দিরের খিলানের একদম মাথার উপরে রয়েছে যুদ্ধের টেরাকোটা ফলক। যুদ্ধ, রাম রাবনের যুদ্ধ…..অশুভের বিরুদ্ধে শুভের যুদ্ধ।। তার নিচে রয়েছে শকুনের বা শৃগাল শকুনের ফলক। George Michel তাঁর ” Brik Temples of Bengal from the Archives of Devid McCuttchion” গ্রন্থে রামায়ণের যুদ্ধ প্রসঙ্গে বলেছেন ….” The battle seceenes are often violent at Bhirgarh (Damodar Temple) there are many prosrate warriors, some of which are being eaten by captures..”
অন্যদিকে শ্রদ্ধেয় তারাপদ সাঁতরা মহাশয় তাঁর ” হাওড়া জেলার পুরাকীর্তি” গ্রন্থে নিজবালিয়া নিবন্ধে সিংহবাহিনী মন্দিরের দক্ষিণে ১৭৭৬ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত একটি আটচালা শিব মন্দিরের টেরাকোটা অলঙ্করণ প্রসঙ্গে বলেছেন ” …আটচালা খিলান শীর্ষে লঙ্কা যুদ্ধ দৃশ্য উৎকীর্ণ। সেটিতে নিহত রাক্ষসদের মৃতদেহ ভক্ষনরত শকুনি দল এক অভিনব সংযোজন।
আবার এই প্রশ্ন ওঠে যে , এই ফলকগুলি কি মহামারী বা মন্বন্তরের ঘটনাকে নির্দেশ করছে? কারন বাংলার মানুষ বারবার মহামারী বা মড়কের শিকার হয়েছেন। আর সামাজিক ভাবে এই ঘটনার প্রভাব মন্দির টেরাকোটায় প্রতিফলিত হয়েছে।
প্রসঙ্গত বাংলার সব থেকে বৃহৎ মন্বন্তর হয় ১১৭৬ বঙ্গাব্দে। এটিই ছিয়াত্তরের মন্বন্তর নামে ইতিহাসে কুখ্যাত। ১৭৬৯ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৭৭৩ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত এই মন্বন্তরের করাল গ্রাস ব্যাপ্ত ছিল। কিন্তু পূর্ব প্রবে আমি মন্দিরগুলির প্রতিষ্ঠা কাল উল্লেখ করেছি। প্রতিষ্ঠাকালগুলি হল যথাক্রমে ১৬৯৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৭৪৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৭৫৮ খ্রিস্টাব্দ….অর্থাৎ সবগুলিই মন্দির নির্মান হয়েছিল সেই কুখ্যাত মন্বন্তরের পূর্বে।
তাহলে এই প্রশ্ন আসে যে উক্ত ১১৭৬ বঙ্গাব্দের পূর্বেও কি বাংলা ,বিহার, উড়িষ্যা কোনো ভয়াল মন্বন্তর দেখেছিল যা আমাদের দৈনন্দিন পাঠ্য ইতিহাসে পড়ানো হয় না ? সেই মহান্বন্তরের প্রভাবই কি উদ্বুদ্ধ করেছিল শিল্পী বা সূত্রধর গোষ্ঠীকে?
এই প্রসঙ্গে আমরা L.S.S O’Malley বং মনমোহন চক্রবর্তী প্রণীত Bengal District Gezetteers , Hooghly গ্রন্থের সাহায্য নিতে পারি। এই গ্রন্থে উল্লেখ পাই ১৬৭১ খ্রিস্টাব্দে তৎকালীন বিহারে এক ভয়াবহ মন্বন্তরের কথা। এই মড়কে প্রায় ১ লক্ষ মানুষ মারা যান। ১৭১০ খ্রিস্টাব্দ, বাংলার হুগলী জেলা দেখেছিল এক ভয়াল মন্বন্তর। বহু মানুষ মারা যায় এই মড়কে। জনৈক ওলন্দাজের Admiral এর বর্ণনায় পাওয়া যায় ১৭৬৯ – ৭০ খ্রিস্টাব্দের কুখ্যাত মন্বন্তরে চুঁচুড়ায় অনাহারে অর্ধমৃত জনৈক ব্যক্তি জীবন্ত অবস্থায় শিয়ালের খাদ্য হন। আচ্ছা এই ভয়াল ঘটনার প্রভাব ক জনমানসে পড়বে না ? শিল্পী সমাজ ভুলে যাবে?
এছাড়া ১৭৭২ খ্রিস্টাব্দে প্রবল বন্যা হয়, ১৭৮৭ খ্রিস্টাব্দে পূর্ববঙ্গে মন্বন্তরে প্রায় ৭০ হাজার মানুষ মারা যায়।, ১৭৩৭ খ্রিস্টাব্দের ১১ ও ১২ ই অক্টোবর প্রবল ঘূর্ণি ঝড়ে হুগলী জেলায় ৩ লক্ষ মানুষ নিহত হন।
উপরের যেসব দুর্ঘটনা বা দুর্যোগের কথা বলেছি সেগুলি মন্দির প্রতিষ্ঠার কিছু পূর্বের অথবা পরের সময়কালের। একথা সত্য যে মহামারী, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, দুর্ভিক্ষ এগুলো মানুষের জীবনের অঙ্গ। কোনটা মানুষের নিজের ভুলের জন্য ,লোভের জন্য সৃষ্টি কোনটা প্রকৃতির নিজের নিয়মে….এগুলো আগেও ছিল পরেও থাকবে। কেবল তার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমতে বা বাড়তে পারে। আলোচ্য মন্দিরগুলির গঠনশৈলী ও টেরাকোটা অলঙ্করনের সাদৃশ্য দেখে একথা বলা ভুল হবে না যে একই শিল্পী বা সূত্রধর গোষ্ঠী এই সব মন্দির নির্মানের কাজে যুক্ত ছিলেন। হয়ত প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে তাঁরা একই কাজ করেছেন। পূর্ব প্রজন্মের ধ্যান ধারণা , নানা কাহিনী ,কথা, ঘটনা ,দুর্ঘটনা প
রবর্তী প্রজন্মের মধ্যে সঞ্চারিত হয়েছিল। ভৌগলিক দূরত্বের নিরিখে দেখলে আকনাপুর থেকে বহিরাগড় ৩২ কিলোমিটার এবং বহিরাগড় থেকে কোতলপুর ১০ কিলোমিটার।
যাক এবার কিছু গৌণ কারন আলোচনা করি এই ফলকগুলি সম্পর্কে:
সনাতনে দেবমন্দির কেবল উপাসনার স্থল নয়। এটি মোক্ষলাভের পথ । আত্মা কেবল তাঁর শরীর বদলায় । দেহপট ক্ষণস্থায়ী….আত্মা চির অবিনশ্বর।
ন জায়তে ম্রিয়তে বা কদাচিন্
নায়ং ভূত্বা ভবিতা বা ন ভূয়ঃ।
অজো নিত্যঃ শাশ্বতোহয়ং পুরাণো
ন হন্যতে হন্যমানে শরীরে ।।
ইনি জন্মেন না বা মরেন না, কখন হয়েন নাই, বর্ত্তমান নাই বা হইবেন না। ইনি অজ, নিত্য, শাশ্বত, পুরাণ; শরীর হত হইলে ইনি হত হয়েন না।
মানব জীবনে জন্ম হতে মৃত্যু পর্যন্ত অনেক গুলি স্তর আছে। এই সকল স্তর সকল মানবকেই অতিক্রিম করতে হয়। এর শেষ স্তর হল মৃত্যু। মৃত্যুর পর দেহ পঞ্চভূতে বিলীন হয়। আত্মা মুক্তি পায়। অর্থাৎ মৃত্যু হল অনিবার্য পরিণতি।তাকে অস্বীকার করা যায় না।তা সুন্দর ও অথবা ভয়াল যেকোনো ভাবেই আসতে পারে।
” বাসাংসি জীর্ণানি যথা বিহায়
নবানি গৃহ্নাতি নরোহপরাণি ।
তথা শরীরাণি বিহায় জীর্ণান্যন্যানি
সংযাতি নবানি দেহী ।। “
সরলার্থঃ
” মানুষ যেমন জীর্ণ-শীর্ণ পুরাতন বস্ত্র ত্যাগ করে নতুন বস্ত্র গ্রহণ করে, সেইরূপ – আত্মা জীর্ণ শরীর ত্যাগ করে নতুন শরীর গ্রহণ করে । “
য এনং বেত্তি হন্তারং যশ্চৈনং হতম্।
উভৌ তৌ ন বিজানীতো নায়ং হন্তি ন হন্যতে || ১৯ ||
যে ইঁহাকে হন্তা বলিয়া জানে, এবং যে ইঁহাকে হত বলিয়া জানে, ইহারা উভয়েই অনভিজ্ঞ। ইনি হত্যা করেন না-হতও হয়েন না।
প্রখ্যাত শিল্প সমালোচক Stella Kramrisch বলেছেন, ” Life as a pilgrimage from birth to death haw many stations. In India is but another station…”
মন্দিরের বহিরঙ্গের অলঙ্করণ তো শুধু বহির সৌন্দর্য নয়, গভীর আধ্যাত্মিক , শিল্পচেতনার ও লোকশিক্ষার প্রকাশ ঘটে মন্দিরের টেরাকোটার অলঙ্করনে।এক্ষেত্রে টেরাকোটা অলঙ্করনে শিল্পী হয় মৃত্যু নামক সেই জীবনের অমোঘ সত্যকে প্রকাশ করতে চেয়েছিলেন। মৃত্যু আছে থাকবে…… আত্মাও অমর হয়ে থাকবে।
আলোচ্য টেরাকোটা ফলকগুলির অবস্থান অনুসারে যদি এদের গুরুত্ব দিয়ে দেখি তবে দেখতে পাওয়া যাবে যে সব কটির অবস্থান কিন্তু মন্দির প্রবেশ পথের খিলানের উপর , কোনো ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় খিলানের উপর , আবার কোনো ক্ষেত্রে ডান দিক বা বাম দিকের খিলানের উপর। পূর্ব পর্বে উল্লিখিত মন্দির গুলি কিন্তু ত্রিখিলান যুক্ত ছিল। একটি বিষয় চিন্তা করার যে , এই প্রবেশপথের খিলান অংশ হল কোনো মন্দিরের অন্যতম প্রধান দৃশ্যমান অংশ।মন্দিরে প্রবেশ পথে এসব স্থানে দর্শনার্থীর নজর পড়বেই। এহল খোলা ক্যানভাস , যেখানে নান্দনিকতা, চিন্তা অনায়াসে প্রকাশ করা যায়। তাই হয়ত এমন স্থানে এমন চিত্র ভেদ দেখা যায়।
আরো একটি প্রশ্ন ওঠে যে চিত্রগুলি ভাগার সম্পর্কের নয় তো? কারন প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় কাক ,শকুন এদের অবদান অস্বীকার করা যায় না।
পার্সি সম্প্রদায় , অগ্নি উপাসক । মৃতদেহ সৎকার অর্থাৎ মৃত্যুর পর নশ্বর দেহ অন্য জীবের ভোজ্য হওয়া। সেখানে চিল , শকুন, কাক এরাই গুরুত্বপূর্ণ।
কঃ কেন হন্যতে জন্তুর্জন্তুঃ কঃ কেন রক্ষ্যতে।
হন্তি রক্ষতি চৈবাত্মা হ্যসৎ সাধু সমারণ্ ||
যে ইহাকে অবিনাশী, নিত্য, অজ এবং অব্যয় বলিয়া জানে, হে পার্থ, সে পুরুষ কাহাকে মারে? কাহাকেই বা হনন করায়?
পার্সি সম্প্রদায় মূলত গুজরাটের নভোরজ ,জামশেদ পুর ও কলকাতা শহরের কিছু নির্দিষ্ট অঞ্চলে বসতি স্থাপন করেন। দাদাভাই বেহেরামজী বানাজী প্রথম পার্সি ব্যক্তি যিনি পশ্চিম উপকূলীয় সুরাট থেকে কলকাতায় আসেন ১৭৬৭ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ। হুগলী জেলায় তাঁদের এই সৎকার পদ্ধতি কতটা প্রভাব ফেলে তার প্রশ্ন থেকে যায়।এই প্রসঙ্গে SKY BURIAL এর কথা উল্লেখ করা অপ্রাসঙ্গিক হবে না। বৌদ্ধ তান্ত্রিক বজ্রযান গোষ্ঠীর কোনো কোনো শাখায় এই সৎকার পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়। তিব্বতে একটি Drigung Monastry আছে। যারা এই প্রথা নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করে থাকেন। মূলত চীন ,মঙ্গলিয়া, তিব্বতের কিয়দংশ এই প্রথা পালন করে থাকেন। মৃতদেহের চর্ম তুলে তারপর চিল , শকুনকে খাওয়ানো হয়। সম্ভবত পাথুরে জমিতে মৃত দেহকে সমাধিস্থ করা যায় না বা অধিক উচ্চতার জন্য দাহ করার উপযুক্ত বড় গাছের কাঠের অভাব থেকেই এই প্রথার উৎপত্তি।
আত্মা বা ইদমেক এবাগ্র আসীৎ।
নান্যং কিঞ্চন মিষৎ।
স ঈক্ষত লোকান্ নু সৃজা ইতি || ১
স ইমাল্লোঁকানসৃজত অম্ভো মরীচীর্ম্মরমিত্যাদি।
ঋগ্বেদীয়ৈতরেয়োপনিষৎ।
আত্মাই সব সৃষ্টি করিয়াছেন, সুতরাং আত্মাই কর্ত্তা।
শকুন হল শনি দেবতার বাহন। সামাজিক ও পারিবারিক ভাবে ভারতের মানুষ চিরকাল শনিদেবতার সমীহ করে এসেছেন। তাঁর প্রকোপ হতে বাঁচতে সমাজ তাঁর পূজা করে এসেছেন চিরকাল।
সামাজিক ভাবে শকুনকে দুর্ভাগ্য বলে মনে করা হয়। ” তোর ঘরে শকুন পড়ুক” বলে
অভিশাপ দেওয়ার প্রচলন আছে।শেয়াল ধূর্ত, শঠ …. এছাড়াও বঙ্গ জীবনে অজস্র প্রবাদ আছে শেয়াল ও শকুন নিয়ে।
শকুন যতই উপ্রে উঠুক তার নজর নিচেই থাকে…
শেয়ালের বাড়ি নিমন্ত্রণ, না আঁচালে বিশ্বাস নেই।
শকুনের অভিশাপে গরু মরে না।
শ্রী সুখময় ভট্টাচার্য তাঁর ” রামায়ণের চরিতাবলী” গ্রন্থে বলেছেন ” রাবনের জন্মকালে উল্কামুখ শিবাকুল ও মাংসভুখ পক্ষী সমূহ দক্ষিণ দিকে মন্ডলাকারে ঘুরিতেছিল।”
এই যে দুই পর্ব ধরে আলোচনা করলাম তা হয়ত আমার বড্ড গভীর চিন্তার ফল। এত সব নাও হতে পারে। তবে ভবিষ্যতে এসব হয়ত কোনো গবেষকের গবেষণায় কাজে আসতে পারে বলে আশা করব।
রাজা বললে, “ভয় কোরো না,প্রিয়ে,ভয় কোরো না।”
গলার স্বর জলে-ভরা মেঘের দূর দুরুদুরু ধ্বনির মতো।
“কিছু ভয় নেই আমার, জয় হল তোমারই।”
এই বলে মহিষী আঁচলের আড়াল থেকে প্রদীপ বের করলে। ধীরে ধীরে তুলে ধরলে রাজার মুখের কাছে।
কণ্ঠ দিয়ে কথা বেরোতে চায় না। পলক পড়ে না চোখে। বলে উঠল,“প্রভু আমার,প্রিয় আমার, এ কী সুন্দর রূপ তোমার!”
বড়ো বিস্ময় লাগে হেরি তোমারে।
কোথা হতে এলে তুমি হৃদিমাঝারে।
ওই মুখ ওই হাসি কেন এত ভালোবাসি,
কেন গো নীরবে ভাসি অশ্রুধারে।
তোমারে হেরিয়া যেন জাগে স্মরণে,
তুমি চিরপুরাতন চিরজীবনে।
তুমি না দাঁড়ালে আসি হৃদয়ে বাজে না বাঁশি,
এই আলো এই হাসি ডুবে আঁধারে॥
সমাপ্ত
দুর্গেশনন্দিনী
তথ্যঃ হুগলী জেলার টেরাকোটায় ব্যতিক্রমী ফলক