গত পরশু প্রধানমন্ত্রীর আন্দোলনকারীদের পোশাক নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন। তার সমালোচনা করে আজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেলেন, পোশাক দেখে বিক্ষোভকারীর পরিচয় ঠিক হয় না। মাথায় টুপি পড়লেই কাউকে হিন্দু মুসলিম পার্থক্য করা যায় না।

এবার সেই মন্তব্যের বিরোধিতা করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, লুঙ্গি পরা সন্ত্রাসীদের বাংলাদেশ থেকে তাড়িয়েছে। এখন এখানেও সন্ত্রাস চালাচ্ছে। লুঙ্গি সন্ত্রাস চলছে। তাই দেখেই পুলিশ তাদের মারেনি। তিনি আরও বলেন, কলেজ স্টুডেন্টরা আন্দোলন করতে পারেন। কিন্তু স্কুলের স্টুডেন্টরা কেন? টুপি পড়ে ভাঙ্গচুর চালানো হচ্ছে। মমতার অভ্যাস আইন না মানা, কোর্ট না মানা, এটা বাঙালির মধ্যে চলে যাচ্ছে। তিনি নিজেই রাষ্ট্র বিরোধিতা শেখাচ্ছেন।

তাঁর প্রশ্ন, সত্যি বিরোধিতা করলে, কেন তারা বিলের বিরুদ্ধে ভোট দেয়নি, চালাকি করছে। আর এখন বোকা বানাচ্ছে মানুষকে।

আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, কয়েকটা ছোটখাটো ঘটনার জন্য ট্রেন চলাচল বন্ধ করা উচিত হয়নি। এর উত্তরে দিলীপ ঘোষ বলেন, পূর্ব রেলের ক্ষতি হয়েছে ২৫০ কোটি, দক্ষিণ রেলের ১৬ কোটি। আর কত ক্ষতি হলে খুশি হতেন তিনি ? এতেও খুশি হননি। আর কত ক্ষতি হলে খুশি হতেন তিনি? রাষ্ট্রীয় সম্পদ ভাঙ্গা ওঁনার সংস্কৃতি। যারা দেশ ভেঙেছিল তারা এখন বাংলা ভাঙছে।

দিলীপ ঘোষ বলেন, যারা দাঙ্গা করেছে তাদের সমর্থনে রাস্তায় নেমেছেন মমতা। এই কদিনে দাঙ্গায় হয়নি। তাই এবার নিজে নেমেছেন। কিন্তু মানুষ সিএএ এর সাপোর্ট করেছে। যারা দাঙ্গাবাজ মুসলিম, তাদের সাপোর্ট করছেন মমতা। তাই তার পার্টির লোকেরাও তার সঙ্গে নেই। আইন বিরোধী কাজ মমতা করছেন। একমাত্র দাঙ্গাবাজরাই তার সঙ্গ দিচ্ছেন।

অসমের বিষয়ে তিনি বলেন, মমতার মত ডাহা মিথ্যা কথা আর কেউ বলে না। কাদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে তা স্পষ্ট আছে বিলে। কিন্তু যারা নাগরিকই নয় তাদের বিভেদ করা হচ্ছে, যারা বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে এখানে প্রবেশ করেছে। যারা চারদিন ধরে ভারতীয় সম্পত্তি নষ্ট করল তাদের আলাদা করার জন্যই বিলের প্রয়োজনীয়তা ছিল।

রাজ্যপালকে বলেছি রাজ্যের পরিস্থিতি সম্পর্কে। ফোন করলে ওসি থেকে এসপি কেউ ধরে না। তাই রাজ্যের পরিস্থিতি ঠিক করার জন্য তাঁকে আবেদন করেছি। কারণ মমতা চান না রাজ্যে শান্তি ফিরুক। হাইকোর্ট সরকারের কান মুললেও লজ্জা নেই। তাই কোর্ট ছাড়া রাস্তা নেই রাজ্য সরকারের।

সৌভিক বন্দ্যোপাধ্যায়

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.