ইংল্যান্ডের পর এ বার দক্ষিণ আফ্রিকা। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে প্রোটিয়া বাহিনীকে না খেলার আর্জি সরকারের। দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রীড়ামন্ত্রী গেটন ম্যাকেঞ্জি এই আর্জি করেছেন।
আফগানিস্তানের শাসক এখন তালিবান। সে দেশের মেয়েদের উপর বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা এনেছে তারা। যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে মেয়েদের ক্রিকেট খেলতে না দেওয়া। যা মেনে নিতে পারছে না বিভিন্ন দেশ। অস্ট্রেলিয়া এখন আর কোনও দ্বিপাক্ষিক সিরিজ় খেলে না আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে। এর আগে ব্রিটেনের সংসদে ইংল্যান্ড দলকে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে খেলতে নিষেধ করা হয়েছিল। এ বার দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রীড়ামন্ত্রী বলেন, “ক্রীড়ামন্ত্রী হিসাবে আমি সিদ্ধান্ত নিতে পারব না যে দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট দল আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে খেলবে কি না। কিন্তু আমি যদি সিদ্ধান্ত নিতে পারতাম, তা হলে খেলা হত না।”
ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে যে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে আফগানিস্তান ম্যাচ বয়কট করবে না তারা। ব্রিটিশ পার্লামেন্ট উত্তাল হয়েছিল এই ম্যাচ নিয়ে। ১৬০ জন সাংসদ ইসিবি-কে আবেদন করেছিল ম্যাচ বয়কট করার। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেটা হচ্ছে না। ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড ম্যাচ বাতিল করতে রাজি নয়। ইসিবি-র প্রধান আধিকারিক রিচার্ড গোল্ড যদিও বলেন, “আফগানিস্তানে মহিলদের উপর তালিবান যে অত্যাচার করছে, ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড সেটার তীব্র প্রতিবাদ জানায়। আইসিসি-র নিয়ম অনুযায়ী, কুলীন টেস্ট খেলিয়ে দেশ হলে মহিলাদের ক্রিকেটের উন্নতি করতে হবে। ইংল্যান্ড বার বার আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ় এড়িয়ে গিয়েছে। চাইব আইসিসি এই বিষয় ব্যবস্থা নিক।”
একই সুর দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রীড়ামন্ত্রীর গলায়। তিনিও চান আইসিসি আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে আফগানিস্তানের ম্যাচ ২১ ফেব্রুয়ারি। দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট বোর্ড কিছু জানায় কি না সেই দিকে নজর সকলের।