সোমবার ভোর থেকে বিকেল পর্যন্ত দফায় দফায় শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার লক্ষ্মীকান্তপুর লাইনের বিভিন্ন স্টেশনে ওভারহেডের তারে কলাপাতা ফেলে কোথাও বা লাইনে স্লিপার তুলে দিয়ে ট্রেন অবরোধ করল বিক্ষোভকারীরা। এই ঘটনার জেরে সোমবার সপ্তাহের প্রথম কাজের দিনেই ট্রেন চলাচল বিপর্যস্ত হল এই শাখায়। পাশাপাশি ডায়মন্ডহারবার শাখার হটোর স্টেশনেও ওভারহেড তারে কলাপাতা ফেলে বন্ধ করে দেওয়া হয় ট্রেন চলাচল। ঘটনার জেরে অনেক ট্রেন বাতিল করতে হয় বলে জানিয়েছে রেল।
সোমবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত লক্ষ্মীকান্তপুর লাইনে ট্রেন চলাচল পুরো স্বাভাবিক হয়নি। অনেক দেরিতে চলছে ট্রেন। লক্ষ্মীকান্তপুর শাখায় অনেক জায়গায় এদিন সন্ধ্যে পর্যন্ত ওভারহেডের তার থেকে কলাপাতা ফেলে দেওয়ার কাজ করছে টাওয়ার ভ্যান। সোমবার ভোরে প্রথমে ডায়মন্ডহারবার শাখার হটোরে ওভারহেড তারে কলাপাতা ফেলে স্টেশনে আটকে দেওয়া হয় আপ ডায়মন্ডহারবার লোকাল।
একই সাথে দফায় দফায় সকালে লক্ষ্মীকান্তপুর শাখার গোচরণ আর দক্ষিণ বারাসাত স্টেশনের মাঝে ওভারহেড তারে কলাপাতা ফেলে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। টাওয়ার ভ্যান কলাপাতা সরাতেই আবার ধপধপি স্টেশনে অবরোধ শুরু হয়। লাইনের মাঝে প্রায় ২০০ জন লোক বসে অবরোধ শুরু করেন। খবর পেয়েই বারুইপুর জিআরপি,
আরপিএফ, জয়নগর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।
প্রথম দফায় অবরোধ তুলে দেবার পর আবার সকাল ৯-২৫ থেকে অবরোধ শুরু হয় ধপধপিতে। ৩০ মিনিট অবরোধ চলার পর অবরোধ উঠে যায়। দফায় দফায় অবরোধের জেরে অফিস টাইমে নিত্য যাত্রীদের ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয়। অনেকেই ট্রেন থেকে নেমে পড়েন।
এরপরে দুপুর ১২-৩০ টার পর আবার অবরোধ শুরু হয় বহড়ু স্টেশনে। অভিযোগ, লাইনের সামনে বসে অবরোধকারীরা আপ লক্ষ্মীকান্তপুর লোকাল আটকে দেয়। এমনকি ট্রেন লক্ষ্য করে পাথরও ছোড়ে অবরোধকারীরা। এই ঘটনায় স্টেশন চত্বরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বারুইপুর জিআরপি, আরপিএফ পুলিশ সহ জয়নগর থানার পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। পুলিশ নিজের উদ্যোগেই ওভারহেডের তার থেকে কলাপাতা সরায়। সব মিলিয়ে এদিন সারাদিন ধরেই এই লক্ষ্মীকান্তপুর লাইনে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়নি। ফলে সারাদিনই চরম দুর্ভোগে পড়েন নিত্যযাত্রীরা।