বলা হয়েছিল, একটি পার্সলের প্রেরকের জায়গায় তাঁর নাম রয়েছে, আর নানা বেআইনি সামগ্রী রয়েছে সেই পার্সলে! ‘ডিজিটাল গ্রেফতার’ করে আদায় করা হয়েছিল টাকাও। সাইবার অপরাধীদের চাল বুঝতে না পেরে শেষমেশ ভয়ে আত্মহত্যা করে বসলেন মধ্যপ্রদেশের এক শিক্ষিকা!
সোমবার মধ্যপ্রদেশ পুলিশের এক জন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মৃতার নাম রেশমা পান্ডে। ৩৫ বছর বয়সি ওই যুবতী পেশায় সরকারি এক স্কুলের শিক্ষিকা। মধ্যপ্রদেশের মৌগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা ছিলেন রেশমা। সম্প্রতি ওই শিক্ষিকা সাইবার অপরাধীদের থেকে একটি ফোন পান। ফোনের অপরপ্রান্ত থেকে বলা হয়, ওই যুবতী একটি পার্সল পাঠিয়েছেন। ওই পার্সলে ‘অবৈধ’ নানা সামগ্রী রয়েছে। পার্সলটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলেও জানায় নিজেকে সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মচারী বলে পরিচয় দেওয়া ওই কণ্ঠ। এ পর্যন্ত শুনেই ভয় পেয়ে যান রেশমা। তাঁর ভয় পাওয়ার সুযোগ নিয়ে তাঁকে ‘ডিজিটাল গ্রেফতার’ করেন প্রতারকেরা। দুই দফায় ৫,৫০০ এবং ২২,০০০ টাকাও আদায় করা হয়।
পুলিশ সুপার রসনা ঠাকুর বলেন, ‘‘রবিবার সন্ধ্যায় ঘুরহাটা এলাকায় নিজের বাড়িতে বিষ খান ওই যুবতী। রাতেই তাঁর আত্মীয়েরা তাঁকে রেওয়ার সঞ্জয় মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যান। সোমবার ভোরে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।” ঘটনায় একটি মামলা নথিভুক্ত করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশের সাইবার অপরাধ দমন শাখা।
মৃতার শ্যালক বিনোদ পান্ডে জানিয়েছেন, সাইবার অপরাধীরা রেশমাকে ‘ডিজিটাল গ্রেফতারি’র ভয় দেখিয়ে নির্দিষ্ট একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠাতে বলেছিল। ভয়ে তাদের সব কথা মেনেও নিয়েছিলেন রেশমা। তার পরেও বন্ধ হয়নি হয়রানি। শেষমেশ মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করলেন যুবতী।