শ্রদ্ধায় গৌরবে পাক শাসনের মুক্তির দিন বিজয় দিবস পালন

তীব্র রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধ ও ভারতীয় সেনার সাহায্যে পাকিস্তানের অধীন থেকে মুক্ত হয়েছিল বাংলাদেশ। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের রাজধানী ঢাকায় আত্মসমর্পণ করে পাক সেনা। মুক্ত হয়ে জন্ম নেয় বাংলাদেশ।

ঐতিহাসিক দিনটি প্রতিবারের মতো যথাযথ মর্যাদা, গৌরবে পালিত হচ্ছে। বিজয় দিবসে জাতীয় স্মৃতিসৌধে বীর শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি মহ. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বাংলাদেশ তৈরির পিছনে ছিল পাকিস্তান সরকারের জোর করে বাংলা ভাষার দমন ও পূর্ব পাকিস্তানে গণহত্যা। প্রায় ৩০ লক্ষ মানুষের জীবনের বিনিময়ে মুক্তিযুদ্ধে সফলতা আসে।

১৯৭১ সালের এই যুদ্ধ আবার ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষের কারণেও বিখ্যাত। সেই সংঘর্ষে চূড়ান্ত পরাজিত হয় পাক সেনা।

তার আগে ১৯৪৮ এর কাশ্মীরে ভারতীয় সেনার কাছেও পরাজিত হতে হয় পাক সেনাকে। ১৯৬৫ সালের সংঘর্ষেও পরাজয়ের মুখ দেখে তারা। এরপরেই হয়েছিল ১৯৭১ সালের লড়াই। সেই সংঘর্ষই বাংলাদেশ-কে জন্ম দেয়।

দিনটি উপলক্ষে বাংলাদেশ সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী সামরিক অভিবাদন জানিয়েছে। বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা দিয়েছে বিভিন্ন দেশ। ভারতেও দিনটি পালিত হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.