নাগরিক সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে উত্তাল পশ্চিমবঙ্গ। রাজ্যের বেশ কিছু জায়গাতে ইতিমধ্যে তীব্র আকার নিয়েছে প্রতিবাদ আন্দোলন। বেশ কিছু জায়গায় সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরেরও ঘটনাও ঘটেছে বলে অভিযোগ এসেছে। এরই মাঝে রাজ্য জুড়ে শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার বার্তা দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা ঘিরেই গোল বেঁধেছে।
একটি বিজ্ঞাপনী ভিডিও-র মাধ্যমে রাজ্যবাসীকে শান্তি বজায় রাখার আহ্বান করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। যেখানে মখ্যমন্ত্রীকে বলতে শোনা গিয়েছে, নাগরিক সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের কথা। তিনি সকলকে উত্তেজনা ছড়াতে বারণ করেছেন। পাশাপাশি তিনি এনআরসি ও ক্যাব বাংলায় হচ্ছে না বলেও দাবি করেন। ভিডিও বার্তার শেষে মুখ্যমন্ত্রী আহ্বান জানিয়ে বলেন, আসুন আমরা সবাই মিলেমিশে কোনও ভেদাভেদ না করে নাগরিকত্ব বিলের বিরুদ্ধে জনমত তৈরি করি।
আর এই ভিডিওকেই অসাংবিধানিক বলে তোপ দেগেছে বিজেপি। এই বিজ্ঞাপনী ভিডিও-র মাঝে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘সিএবি মানবো না’। আর এখানেই আপত্তি বিজেপির। বিজেপির বক্তব্য, ক্যাব সংসদে উভয়কক্ষেই পাশ হয়ে গিয়েছে। তাতে সইও করে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। ফলে ক্যাব এখন পরিণত হয়ে গিয়েছে আইনে। আর রাজ্য সরকার কখনও সরাসরি আইন লঙ্ঘন করতে পারে না বলে জানিয়েছে বিজেপি। পদ্ম শিবিরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, “এটা দেশদ্রোহীতার সমান। তাই আমরা আদালতে যাব।”
একই ভাবে মমতার এই বিজ্ঞাপনের প্রতিবাদ জানিয়েছেন, রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ও। তিনি বলেছেন, রাজনৈতিক দল একথা বলতেই পারে। কিন্তু নির্বাচিত সরকারের প্রধান হিসেবে সরকারের টাকায় এই বিজ্ঞাপন করা যায় না। রাজ্যপাল জানান, তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই বিজ্ঞাপন প্রত্যাহার করতেও বলেছেন।
উল্লেখ্য, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ঘিরে বারবার উত্তপ্ত হ্যে উঠেছে রাজ্যের কিছু এলাকা। সরকারি সম্পত্তি নষ্ট থেকে শুরু করা থেকে শুরু করে রাস্তা অবরোধ চলেছে লাগাতার। আর এরই মাঝে শান্তির বার্তা দিয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর টাই নিয়েই শুরু হয়েছে চাপানোতর।