শনিবারের পর রবিবারও উত্তেজনায় সরগরম রাজ্য। নাগরিকত্ব সংশোধনি আইনের বিরুদ্ধে সকাল থেকে ফের উত্তেজনা ছড়িয়েছে বেশ কিছু জায়গায়। সকাল থেকে বেশ কিছু জায়গায় সড়ক এবং রেল অবরোধ শুরু করছে বিক্ষোভকারীরা। সকাল থেকে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহ, আমডাঙা এবং দেগঙ্গা।
দীর্ঘক্ষণ আমডাঙার ধানকল মোড় অবরোধ করে রাখেন আন্দোলনকারীরা। সোনাডাঙা মোড়েও অবরোধ করা হয়। ৩৫ নম্বর জাতীয় সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে, গাছের গুড়ি ফেলে অবরোধ করলে যানজট সৃষ্টি হয়। টায়ার জ্বালিয়ে পথ অবরোধ করা হয় দেগঙ্গাতেও। ভ্যাবলায় ট্রেন অবরোধ করেন বিক্ষোভকারীরা। সব মিলিয়ে শনিবারের পরে রবিবারও রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে।
অন্যদিকে, দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে উঠছে মুর্শিদাবাদও। জেলার বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ দেখান আন্দোলনকারীরা। বহরমপুরের পাশাপাশি বীরভূমের মুরারই অশান্ত রয়েছে আজ বুধবারও। মিত্রপুর ও হিয়াতনগর মোড়ে রাস্তার উপর আগুন জ্বালিয়ে দীর্ঘক্ষণ অবরোধ করে রাখেন আন্দোলনকারীরা। হাওড়ায় কোনা এক্সপ্রেসওয়ের গরফা ব্রিজের কাছে টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করেন বিক্ষোভকারীরা। নতুন করে ফের এদিন বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন লাগানোর চেষ্টা করা হলে পুলিশ কড়া হাতে নিয়ন্ত্রণ করে বলে জানা গিয়েছে।
অন্যদিকে, রেলে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে আজ রবিবারও। নলহাটি-আজিমগঞ্জ, আজিমগঞ্জ-নিউ ফরাক্কা এবং কৃষ্ণনগর-লালগোলা শাখায় এখনও ট্রেন পরিষেবা চালু হয়নি বলে জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, শনিবার নবান্নে সমস্ত জেলার পুলিস সুপারদের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্য পুলিসের ডিজি বীরেন্দ্র। টেলিফোনেই রবিবারের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা ফেরানোর নির্দেশ দেন। টেলিফোনে তিনি রাজ্যের সমস্ত পুলিশ সুপারদের নির্দেশ দেন, বিক্ষোভকারীরা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করলে পুলিশ কোনও ধরনের বাধা দেবে না। এই বিলের বিরুদ্ধে মানুষদের প্রতি মুখ্যমন্ত্রীও যথেষ্ট সহানুভূতিশীল।
কিন্তু কোনও ব্যক্তি,গোষ্ঠী বা সংগঠন যদি এই বিক্ষোভের নামে আইন হাতে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করে সেক্ষেত্রে কড়া মনোভাব দেখাবে পুলিশ। প্রয়োজনে গ্রেফতারও করা হতে পারে তাঁদের। আগামীকাল অর্থাৎ সোমবারের মধ্যে এই বিক্ষোভ-প্রতিবাদের ফলে যে হিংসাত্মক আন্দোলনের সৃষ্টি হয়েছে তা নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য কড়া মনোভাব দেখাতে হবে জানিয়েছেন রাজ্য পুলিশের ডিজি।