রাজস্থানের কোটায় আবার আত্মঘাতী ছাত্র। হস্টেলের সিলিং ফ্যান থেকে তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। ওই হস্টেলের সিলিং ফ্যানগুলিতে আত্মহত্যা ঠেকানোর বিশেষ যন্ত্র বসানো ছিল। তা সত্ত্বেও কী ভাবে ওই কিশোর আত্মঘাতী হল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, আত্মঘাতী ছাত্রের বয়স ১৬ বছর। বিহার থেকে জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে সে কোটায় গিয়েছিল। সেখানে বিজ্ঞান নগরের একটি কোচিং সেন্টারে পড়াশোনা চলছিল তার। স্কুলে সে একাদশ শ্রেণিতে পড়ত।
আইআইটিতে পড়ার স্বপ্ন দেখত ওই কিশোর। সেই কারণেই বাবা-মা তাকে কোটায় পাঠিয়েছিলেন বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। কিন্তু কী কারণে সে আত্মঘাতী হল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। কারণ, হস্টেলের ওই ঘর থেকে কোনও সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি।শুক্রবার রাতে তার ঘরের দরজা বন্ধ ছিল। অনেক ডাকাডাকির পরেও ভিতর থেকে সাড়া না-মেলায় পুলিশকে জানান হস্টেল কর্তৃপক্ষ। তারা এসে দরজা ভেঙে কিশোরের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। খবর দেওয়া হয়েছে কিশোরের পরিবারকেও।
আত্মহত্যা প্রতিরোধক যন্ত্র সিলিং ফ্যানে বসানোর পরেও কী ভাবে সেখান থেকে ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল, তা নিয়ে ধন্দ তৈরি হয়েছে। এর নেপথ্যে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে কি না, পুলিশ তা-ও খতিয়ে দেখছে। ওই ছাত্রের সহপাঠী এবং হস্টেলের অন্য আবাসিকদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কোনও সম্ভাবনাই আপাতত উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না। ছাত্রের পরিবারের সঙ্গেও কথা বলছেন তদন্তকারীরা।
কোটায় চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে এই নিয়ে মোট ১৭টি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটল। গত বছরের চেয়ে পরিসংখ্যান কিছুটা কমেছে। ২০২৩ সালে কোটায় আত্মঘাতী ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ছিল ২৩। ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা কমাতে স্থানীয় প্রশাসন একাধিক পদক্ষেপ করেছে। হস্টেলগুলিতে সিলিং ফ্যানে আত্মহত্যা প্রতিরোধক যন্ত্র বসানো থেকে শুরু করে কোচিং সেন্টারগুলিকে পড়াশোনার চাপ না-দেওয়া নিয়ে সতর্ক করা— প্রশাসনের তরফে চেষ্টা চলছে। তা সত্ত্বেও এই ধরনের আত্মহত্যার ঘটনা উদ্বেগ বাড়িয়ে দিচ্ছে কোটায়।