সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়াই পূর্বঘোষিত অনুষ্ঠান বন্ধ করে দিল রাজ্য সরকার।
হিন্দু জাগরণ মঞ্চের ডাকে আজ দুপুর 11 টা নাগাদ মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা রোড ফুটবল মাঠে জাতি বর্ণ নির্বিশেষে এক বিশাল সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছিল। এজন্য গত একমাস ব্যাপী হিন্দু জাগরণ মঞ্চের কর্মীরা মেদিনীপুর সহ পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোতে ব্যাপকহারে প্রচার করেছিল। জনসভার বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত তথা সংগঠনের জেলা পদাধিকারী পারিজাত চক্রবর্তীর কথায় এই জনসভা প্রশাসনিক বিধির মধ্যে থেকেই সম্পন্ন করা হবে, এমন নিশ্চয়তা দিয়ে স্থানীয় BDO এবং SDO অফিসে জানানো হয়েছিল কিন্তু গতকাল অর্থাৎ 12 ডিসেম্বর রাতে SDO অফিস থেকে সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ ছাড়াই আজকের অনুষ্ঠানটি বন্ধ করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়।
আজ সকাল দশটার মধ্যেই মেদিনীপুর জেলা সহ পার্শ্ববর্তী জেলাগুলো থেকে হিন্দু জাগরণ মঞ্চের কর্মী ও সমর্থকরা আসতে শুরু করে।
প্রশাসনের উদ্যোগে ফুটবল মাঠ থেকে 10-12 কিলোমিটার দূরে তাদের আটকানো হয় তা সত্বেও সাত থেকে আট হাজার সমর্থক বিশেষত জনজাতি সম্প্রদায়ের মানুষ স্বেচ্ছায় উপনীত হয়। পারিজাত চক্রবর্তীর কথা অনুসারে যে সময় আমাদের অনুষ্ঠানটি বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়, সেই সময় সমস্ত কর্মীদের আসা বন্ধ করার জন্য জানানোর কোনো উপায় ছিল না।
এদিনের অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা সাধ্বী সরস্বতী জীর কথায় স্থানীয় প্রশাসন এই সভাবন্ধের জন্য শুধু মাত্র উপরের নির্দেশে কার্যকর করেছে। হিন্দু জাগরণ মঞ্চের কর্মী সমর্থকরাও পূর্বঘোষিত যথাযোগ্য ব্যবহার বজায় রেখেছে। এজন্য স্থানীয় প্রশাসনিক আধিকারিকদের প্রতি আমাদের বিন্দুমাত্র ক্ষোভ নেই। তবে এ রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান মমতা দিদির রাজ্যের হিন্দু বাঙালী তথা জনজাতিদের প্রতি তেমন কোনো মমতা যে নেই, তা নিয়ে বাঙালি হিন্দুদের এই মমতাহীন সরকার সম্বন্ধে ভাববার সময় এসেছে।