বর্ডার-গাওস্কর ট্রফির তৃতীয় টেস্ট শনিবার থেকে শুরু হবে ব্রিসবেনের গাব্বায়। অস্ট্রেলিয়ার এই মাঠের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে ক্রিকেটের অসংখ্য স্মৃতি। সম্ভবত এ বারই শেষ এই মাঠে খেলার সুযোগ পাচ্ছেন রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিরা। কারণ, বিশ্বের অন্যতম সেরা এই টেস্ট কেন্দ্র কয়েক বছরের মধ্যে ইতিহাসের পাতায় চলে যাবে। ২০৩২ সালের অলিম্পিক্সের আয়োজক ব্রিসবেন। তাই ৪২ হাজার দর্শকাসনের এই স্টেডিয়াম তুলে দেওয়া হবে অস্ট্রেলিয়ার অলিম্পিক সংস্থার হাতে। নতুন কোনও স্টেডিয়াম বেছে নেবেন ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া এবং কুইন্সল্যান্ড ক্রিকেট সংস্থার কর্তারা।
অলিম্পিক্স আয়োজনের জন্য ব্রিসবেনের ক্রীড়া পরিকাঠামোর ব্যাপক উন্নয়নের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। অলিম্পিক্স আয়োজকেরা মূল স্টেডিয়াম হিসাবে গাব্বাকে চিহ্নিত করেছেন। অলিম্পিক্সকে মাথায় রেখে স্টেডিয়ামটির আধুনিকীকরণ হবে। অ্যাথলেটিক্সের উপযোগী করে গড়ে তোলা হবে নতুন ভাবে। বৃদ্ধি করা হবে দর্শকাসনও। বলা যায় এখনকার স্টেডিয়ামের খোলনোলচে বদলে ফেলা হবে। ফলে সেখান থেকে সরে যেতে হবে ক্রিকেটকে।
২০৩২ সালের গেমসে থাকবে ক্রিকেট। তবে পরিচিত গাব্বায় খেলার সুযোগ পাবেন না ক্রিকেটারেরা। ক্রিকেটের জন্য ব্রিসবেনে সম্ভবত তৈরি করা হবে নতুন স্টেডিয়াম। সেখানে আগামী ৫০ বছর টেস্ট ক্রিকেটের পাশাপাশি হবে অস্ট্রেলিয়ার ফুটবল লিগের ম্যাচ। এখন গাব্বা ব্যবহার করে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া এবং সেখানকার ফুটবল ক্লাব ব্রিসবেন লায়ন্স। নতুন স্টেডিয়ামও এই দুই সংস্থা ব্যবহার করবে। অস্ট্রেলিয়ার অলিম্পিক সংস্থা গাব্বা অধিগ্রহণ করার আগেই কুইন্সল্যান্ড প্রশাসনের কাছে নতুন স্টেডিয়ামের জন্য যৌথ ভাবে দরবার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া এবং ব্রিসবেন লায়ন্সের কর্তারা। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সিইও নিক হকলে এই খবর জানিয়েছেন ভারত-অস্ট্রেলিয়া টেস্টের তিন দিন আগে।
হকলে বলেছেন, ‘‘কুইন্সল্যান্ডের ক্রিকেট ইতিহাসে গাব্বার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। আসন্ন টেস্ট নিয়েও প্রবল আগ্রহ রয়েছে। প্রচুর টিকিট বিক্রি হয়েছে। আমরা সত্যিই খুশি। কিন্তু গাব্বায় আর বেশি দিন ক্রিকেট হবে না। পুরনো এই স্টেডিয়ামের জায়গায় ২০৩২ সালের অলিম্পিক্সের জন্য বিশ্বমানের নতুন স্টেডিয়াম তৈরি হবে। ক্রিকেট এবং ফুটবলপ্রেমীরা অবশ্য তাঁদের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবেন না।’’ একই সঙ্গে তিনি ক্রিকেটপ্রেমীদের ভারত-অস্ট্রেলিয়া লড়াই দেখার জন্য স্বাগত জানিয়েছেন।