মানসিক প্রতিবন্ধী ছাত্রীকে যৌন হেনস্থার অভিযোগে দুই ছাত্রকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সম্প্রতি তামিলনাড়ুর চেন্নাইয়ে ঘটনাটি ঘটেছে। ওই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসার পরেই সে রাজ্যে ডিএমকে সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন বিরোধীরা। উঠেছে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগও।
গত মাসের শেষে নির্যাতিতা তরুণীরই কিছু সহপাঠীর বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন ওই ছাত্রীর বাবা। অভিযোগ, বেশ কিছু দিন ধরেই কলেজে তাঁর মানসিক প্রতিবন্ধী মেয়েকে উত্ত্যক্ত করছিলেন তাঁরই কিছু সহপাঠী। ওই ছাত্রীকে একাধিক বার যৌন হেনস্থাও করা হয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন এক ছাত্রীও। প্রাথমিক ভাবে কমিউনিটি সার্ভিস রেজিস্টারে (সিএসআর) লিখিত অভিযোগ দায়ের করে তদন্তে নামে পুলিশ। অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদও শুরু হয়। এর পর যৌন হেনস্থার বিষয়টি খতিয়ে দেখে গত ৭ ডিসেম্বর নির্যাতিতা ছাত্রীর দুই সহপাঠীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ধৃত দুই ছাত্র তিরুভাল্লুরের বাসিন্দা। তাঁদের নাম নরেশ এবং সুরেশ। বয়স যথাক্রমে ১৯ ও ২০। নির্যাতিতা ছাত্রী মানসিক প্রতিবন্ধী হওয়ায় প্রাথমিক ভাবে তাঁর বয়ান সংগ্রহে সমস্যা হচ্ছিল তদন্তকারীদের। শেষমেশ তদন্তের স্বার্থে চারটি বিশেষ দলও গঠন করে পুলিশ। কিন্তু ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসতেই নানা মহলে সমালোচনা শুরু হয়েছে। তামিলনাড়ু বিজেপির সভাপতি কে আন্নামালাই পুলিশের বিরুদ্ধে তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন। তাঁদের আরও অভিযোগ, যৌন হেনস্থার ঘটনায় প্রাথমিক ভাবে নির্যাতিতার বাবাকে অভিযোগ দায়ের করতে বাধা দেয় পুলিশ। অভিযোগ পরিবর্তন করার জন্যও চাপ সৃষ্টি করা হয়। শেষমেশ সিএসআর-এর অধীনে অভিযোগ নেওয়া হয়। একই সুর শোনা গিয়েছে এডিএমকে-র তরফেও। বিরোধীদের যুক্তি, বিশেষ ভাবে সক্ষম এক জন ছাত্রীর নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে পুলিশ। এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী স্ট্যালিনের নীরবতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। আন্নামালাই জানিয়েছেন, তদন্তপ্রক্রিয়ায় দেরির জন্য দায়ী পুলিশকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে শীঘ্রই পুলিশ প্রধানের কাছে একটি আবেদন জমা দেবে বিজেপি।