জ্বরজারি হচ্ছে? ওষুধ লাগবে না, সারবে ঘরোয়া পদ্ধতিতেই

সর্দিতে বন্ধ হয়ে গিয়েছে নাক, গলায় প্রচন্ড ঘরঘর শব্দ, সঙ্গে মাঝে মাঝেই আসছে ধুম জ্বর। কোনওকাজেই ঠিকমত মন বসছে না। ফ্লু হলে সারাদিনের রুটিনের যেন বারোটা বেজে যায়। অফিস থেকে বাড়ি, এমনকি রাস্তাঘাটেও পড়তে হয় নানারকম সমস্যায়। বাড়ি থেকে যেন বেরোতেই ইচ্ছে করে না এইসময়। আবার কথায় কথায় ডাক্তারের কাছে ছুটতেও আপনি তেমন পছন্দ করেন না। তা হলে বাড়িতে বসেই কীভাবে ফ্লু সারানো যায়, তার উপায় জেনে নেওয়া যাক।

সর্দিকাশিজ্বরের মত সমস্যায় মধুর মত উপকারী জিনিস আর হয় না। এ কথা কিন্তু আজকের নয়, বরং বহু আগে থেকেই এই কথা প্রচলিত। কথাটা একেবারেই ঠিক। মধু আর তুলসীপাতা গলার কফ পরিস্কার করে দেয়। সর্দিকাশি হলে প্রতি সকালে মধু আর তুলসীপাতা একসঙ্গে খেয়ে নিন। দেখবেন, কিছুক্ষণেই আপনার গলাটা পরিস্কার হয়ে গিয়েছে, আপনি আরাম পাচ্ছেন।

ঠান্ডা লাগায় সর্দিতে নাক বন্ধ। গলার অবস্থাও মোটেই ভালো নয়। গলাকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে কী করবেন তাই ভাবছেন। আদা চা কিন্তু আপনাকে সহজে রেহাই দিতে পারে এই অস্বস্তি থেকে। শুধু গলার কফ সরাতেই নয়, বুকের কফ পরিস্কর করতেও আদা চায়ের তুলনা হয় না। তবে আদা চা বানাবেন কী করে? খুব সহজ পদ্ধতি। ফুটন্ত জলে চিনি দিয়ে ফোটান। চিনি মিশে গেলে চা দিয়ে ফোটাতে হবে। এরপর এতে দিন আদার কুচি। অল্পক্ষণ পর ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে নিন চা। চাইলে এতে মেশাতে পারেন পাতিলেবুর অল্প রস। এটা চায়ের ভিটামিন সি যোগ করে। এই আদা চা খেলে সর্দির সময় মাথা ধরা কমে যায়। একইসঙ্গে দুর্বলতা কেটে গিয়ে শরীর চাঙ্গা হয়ে ওঠে।

শরীরে ভিটামিনস-এর অভাব হলে শরীর দুর্বল সয়ে পড়ে। তখন বাইরের রোগজীবাণু সহজেই শরীরকে আক্রমণ করতে পারে। ফ্লুও একই কারণে হয়ে থাকে। তাই ফ্লু’কে কমাতে হলে বা প্রতিরোধ করতে হলে ভিটামিনস খাওয়া জরুরি। অনেকেই শরীরে ভিটামিনস পেতে বেছে নেন ভিটামিনস সাপ্লিমেন্টস। কিন্তু সবসময় ভিটামিন সাপ্লিমেন্টস না বাছলেও চলে। কিছু কিছু খাবার থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ বি সি ইত্যাদি। তাই খাবারের একটি ঠিকঠাক তালিকা তৈরি করার চেষ্টা করুন যাতে শরীলে সবধরনের ভিটামিন ঠিকমত প্রবেশ করতে পারে। ভিটামিন শরীরের রোগপ্রতিরোধে অংশ নেয়। ফলে সর্দিকাশির মত ছোটখাটো রোগগুলো সহজে কাবু করতে পারে না।

কফ একবার বুকে জমে গেলে তা বের করা কঠিন‌। এমনকি ঠিকমত চিকিৎসা না করাতে পারলে হতে পারে ইনফেকশনও। তাই সর্দিকাশির সময় কোনওভাবেই যেন বুকে কফ বসে না যায়‌। এর জন্য খেতে হবে প্রচুর পরিমাণে তরল। শুধু জলই খেতে হবে তার কোনও মানে নেই। বরং চলতে পারে ফ্রুট জুস বা স্যুপ জাতীয় খাবারও। এই তরল কফকে সহজে বুকে বসতে দেয় না। বরং বুকে থাকা কফকে তরল করে দিয়ে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করে।

ফ্লু অনেকসময় ছোঁয়াচে হয়ে থাকে। ফলে আপনার ফ্লু হলে হতে পারে আপনার আত্মীয়স্বজনের। হয়তো আপনার ফ্লুও হয়েছে এমনভাবেই। তাই এইসময় জ্বর গায়ে বাড়ি থেকে কোথাও না বেরিয়ে বাড়িতেই বিশ্রাম নেওয়া ভালো। এতে সংক্রমণের আশঙ্কা কমে। এই সময় শরীর যথেষ্ট দুর্বল থাকে। তাই ঠিকঠাক বিশ্রাম নিতে প্রয়োজন পর্যাপ্ত ঘুমের। বাড়িতে যখন আছেন, চেষ্টা করুন পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমিয়ে নেওয়ার। ঘুম ভাঙলে দেখবেন, শরীর অনেক চাঙ্গা লাগছে।





Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.