কামদুনি ধর্ষণ কান্ডে দোষীদের এখনও শাস্তি হয়নি৷ এক এক করে পার হয়ে গিয়েছে ৬টা বছর৷ আদালতের রায়ের দিকে তাকিয়ে আছে কামদুনি৷ তাই ওই মামলার দ্রূত নিষ্পত্তি চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হল নির্যাতিতার পরিবার৷
সূত্রের খবর, ৬ বছর পার হয়ে গেলেও কামদুনি ধর্ষণ কান্ডে দোষীদের শাস্তি হয়নি৷ অবিযোগ বহাল তবিয়তে তার জেলে রয়েছে৷ এই অবস্থায় মামলার দ্রূত নিষ্পত্তি চায় নির্যাতিতার পরিবার৷ বুধবার শাস্তি চেয়ে দোষীদের বিরুদ্ধে ফের হাইকোর্টের দ্বারস্থ তারা৷ এদিন উচ্চআদালতের রেজিস্টার জেনারেলের কাছে আবেদন জানায় পরিবার৷ জানা গিয়েছে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখার আস্বাস দিয়েছেন তিঁনি৷ উল্লেখ্য ২০১৬ সালে দোষীদের সাজা ঘোষণা করে নিন্ম আদালত৷
কামদুনি ধর্ষণ কান্ডে প্রতিবাদী শিক্ষক প্রদীপ মুখোপাধ্যায় জানান, কামদুনির ঘটনাটি প্রায় ৬ বছর আগে ঘটেছে ৷ অভিযুক্তরা বর্তমানে জেলে রয়েছে৷ কিন্তু তাদের কোনও শাস্তি ঘোষণা হয়নি৷ উল্টে অভিযুক্তরা জেলের মধ্যে বহাল তবিয়তেই আছে৷ এখন সংশোধনাগারের পরিকাঠামো অনেক ভাল৷ সেখানে তারা খাওয়া দাওয়া করে ভালই আছে৷
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ৭ জুন কলেজ থেকে ফেরার পথে দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রীকে জোর করে তুলে নিয়ে যায় কয়েকজন দুষ্কৃতী। কামদুনির প্রাচীর ঘেরা একটি জায়গায় তাঁকে দুষ্কৃতীরা গণধর্ষণ করে নৃশংসভাবে খুন করে বলে অভিযোগ। ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই তোলপাড় হয় রাজ্য রাজনীতি। দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক মূলক শাস্তির দাবিতে গড়ে ওঠে কামদুনি প্রতিবাদী মঞ্চ। সেই মঞ্চকে সামনে রেখে একের পর এক আন্দোলন গড়ে ওঠে। সেই আন্দোলনেরই অন্যতম মুখ ছিলেন কামদুনি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রদীপ মুখোপাধ্যায়।
ঘটনার আড়াই বছর পর ২০১৬ সালের ৩০ জানুয়ারি কামদুনিকাণ্ডের রায় ঘোষণা হয়। দোষী সাব্যস্ত হওয়া ছয় অপরাধীর মধ্যে তিনজনের ফাঁসি এবং বাকি তিনজনকে আমৃত্যু সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে নিম্ন আদালত। কিন্তু এখনও তাদের শাস্তি হয়নি৷