দু’বছর পর বরাদ্দ বৃদ্ধি মিড-ডে মিলে। প্রাথমিক এবং উচ্চ প্রাথমিক দুই খাতে মাথাপিছু ৭০-৭৫ পয়সা করে বরাদ্দ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় সরকার। যদিও এই পরিমাণ বৃদ্ধিতে তেমন খুশি নয় শিক্ষামহলের একাংশ। অনেকেরই সংশয়, বাজারে জিনিসপত্রের যা দাম, তাতে এই ‘ছিটেফোঁটা’ বরাদ্দ বৃদ্ধিতে শিশুরা পুষ্টিকর খাবার পাবে তো?
শেষ বার ২০২২ সালে মিড-ডে মিলে বরাদ্দ বাড়িয়েছিল কেন্দ্র। সে বার প্রাথমিকে মাথাপিছু বরাদ্দ বাড়িয়ে করা হয়েছিল ৫.৪৫ টাকা। আর মাথাপিছু বরাদ্দ বেড়ে ৮.১৭ টাকা হয়েছিল উচ্চ প্রাথমিকে। তার পর দু’বছর ধরে বরাদ্দ না বাড়ায় ক্ষোভ বাড়ছিল শিক্ষামহলে। সেই পরিস্থিতিতে অবশেষে বরাদ্দ বাড়ল মিড-ডে মিলে। প্রাথমিকে মাথাপিছু বরাদ্দ বেড়ে হল ৬.১৯ টাকা। আর উচ্চ প্রাথমিকে ৯.২৯ টাকা।
তবে এই বৃদ্ধি ‘যৎসামান্য’ বলেই মনে করছেন শিক্ষামহলের একাংশ। বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেন, ‘‘আমরা অনেক দিন ধরেই দাবি করে আসছি যে, মিড-ডে মিল খাতে মাথাপিছু বরাদ্দ বাড়িয়ে প্রাথমিকে ১০ টাকা এবং উচ্চ প্রাথমিকে ১৫ টাকা করা হোক। কিন্তু কেন্দ্র আজ বরাদ্দ যে পরিমাণ বাড়িয়েছে, তা হতাশাজনক। এর থেকে বোঝা যায়, কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন সরকার এই গরিব ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলেমেয়েদের কী চোখে দেখে! এই চরম মূল্যবৃদ্ধির বাজারে এই সামান্য টাকায় ছাত্রছাত্রীদের পুষ্টিকর খাবার দেওয়া যায়?’’ উদ্যোগ ভাল হলেও বরাদ্দ আর একটু বেশি বাড়ানো গেলে ভাল হত বলে মনে করছেন ‘কলেজিয়াম অফ অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমাস্টার্স অ্যান্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমিস্ট্রেসেস’-এর সম্পাদক সৌদীপ্ত দাসও।
অন্য দিকে, বিজেপির শিক্ষা সেলের রাজ্য সম্পাদক পিন্টু পাড়ুই বলেন, ‘‘বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হয়েছে শুনলাম। এটা খুবই ভাল ব্যাপার। তবে ছাত্রছাত্রীদের স্বার্থে আরও খানিকটা বাড়ানো গেলে ভাল হত। পাশাপাশি কেন্দ্রের উচিত রাজ্য সরকারের উপর নজর রাখা, যাতে মিড-ডে মিলের টাকা অন্য খাতে ব্যয় না হয়। আমি আজও অভিযোগ করেছি মিড-ডে মিল নিয়ে।’’