ভোটে হারলেই ইভিএম কারচুপির অভিযোগ ওঠে! জিতলে কেন নয়? মঙ্গলবার একটি জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে এমনই প্রশ্ন তুললেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিক্রম নাথ এবং বিচারপতি পিবি ভারালের বেঞ্চ। সেই সঙ্গে খারিজ করে দেয় ব্যালট বাক্সে ভোট করানোর আর্জিও।
হরিয়ানা হোক বা মহারাষ্ট্র, লোকসভা হোক বা বিধানসভা, নির্বাচনের ফল নিয়ে বার বার প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। ইভিএম কারচুপির অভিযোগ করে সরব হয়েছেন। এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থও হয়েছেন অনেকে। উঠেছে ভোটে ব্যালট ফেরানোর দাবিও। তবে বিরোধীদের অভিযোগ বার বারই ‘অসত্য’ বলে দাবি করেছে কমিশন। এ বার কেএ পাল নামে এক ব্যক্তি সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে ব্যালট ফেরানোর দাবি জানান।
মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানিতে আবেদনকারী জানান, গণতন্ত্র রক্ষা করতে ইভিএমের বদলে ব্যালট পেপার ফিরিয়ে আনা উচিত। তিনি টেনে এনেছেন ইলন মাস্কের প্রসঙ্গও। তাঁর দাবি, এ বিষয়ে দেশের ১৮টি রাজনৈতিক দল সমর্থন করে। চন্দ্রবাবু নায়ডু এবং জগন্মোহন রেড্ডির মতো নেতারাও জানিয়েছেন ইভিএম কারচুপি সম্ভব! এ ছাড়াও আমেরিকার নির্বাচনে ব্যালটে হয়। মামলাকারীর দাবি, ‘‘বিশ্বের ১৯৭টি দেশের মধ্যে ১৮০টি দেশেই এখনও ব্যালটেই ভোটগ্রহণ হয়। আমাদের দেশে সেই প্রথা ফিরিয়ে আনা প্রয়োজন আছে।’’
মামলাকারীর বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি বিক্রম নাথ বলেন, ‘‘যখন চন্দ্রবাবু নায়ডু বা জগন্মোহন রেড্ডিরা ভোটে হেরে যান তখনই তাঁরা ইভিএম কারচুপির কথা বলেন। কিন্তু ভোটে জিতলে এ ব্যাপারে কোনও কথাই বলেন না। তখন তাঁদের ইভিএমে কোনও ত্রুটি চোখে পড়ে না।’’ শুনানি শেষে মামলাকারীর আবেদন খারিজ করে দেয় বিচারপতি বিক্রম নাথের বেঞ্চ।