নাগরিকত্ব বিল পাশ রাজ্যসভাতেও, পক্ষে ১২৫ ভোট, বিপক্ষে ১০৫

লোকসভার পরে রাজ্যসভাতেও পাশ হয়ে গেল নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল। এদিন বিলের পক্ষে ভোট পড়ে ১২৫টি। বিপক্ষে ভোট পড়ে ১০৫টি। ভোটাভুটিতে অংশ নেন ২৩০ জন। ম্যাজিক ফিগার ছিল ১১৬। আর তাতে সহজেই পাশ হয়ে যায় বিল।

এই ভোটাভুটির আগে সিলেক্ট কমিটিতে বিল যাওয়া নিয়েও ভোটাভুটি হয়। সেখানে সরকারের পক্ষে ভোট ১১৩টি। বিপক্ষে ভোট পড়ে ৯৩টি। এর পরেই বিলের উপরে ভোট হয়। আর তাতেও পাশ হয়ে যায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল।

এর আগে সোমবার মধ্যরাতে লোকসভায় নাটকীয় ভাবে পাশ হয় নাগরিকত্ব সংশোধন বিল। লোকসভায় বিজেপির একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। এনডিএ-র শরিক দলগুলি নিয়ে সেই গরিষ্ঠতা আরও বড়। কিন্তু এর পরেও বিল নিয়ে ভোটাভুটি চান বিরোধীরা। বিলের পক্ষে ভোট পড়ে ৩১১টি। আর বিলের বিপক্ষে ৮০টি ভোট পড়ে। ফলে বিলটি লোকসভায় অনায়াসে পাশ হয়ে যায়। এবার রাজ্যসভাতেও পাশ হয়ে গেল।

এদিন সকালেই এই বিল রাজ্যসভায় পেশ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। দিনভর এই বিল নিয়ে আলোচনা হয়। লোকসভার মতো রাজ্যসভাতেও কংগ্রেস-সহ বিরোধীরা এই বিলের বিরোধিতা করেন। লোকসভায় সমর্থন করলেও রাজ্যসভায় আশ্চর্যজনকভাবে শিবসেনা এই বিলের বিরোধিতা করে। তবে ভোটদানে বিরত থাকে। যদিও শেষ পর্যন্ত যাবতীয় বিরোধিতার পরেও পাশ হয়ে গেল নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল।

রাজ্যসভায় এই বিল পেশ করানো কিছুটা হলেও চ্যালেঞ্জ ছিল বিজেপির কাছে। বর্তমানে রাজ্যসভায় ২৪০ জন সদস্য আছেন। সেখানে ১২১ টি ভোট পেলে কোনও বিল পাশ হতে পারে। বিজেপি ও তার জোট শরিক এডিএমকে, জনতা দল ইউনাইটেড এবং অকালি দলের মোট এমপির সংখ্যা ১১৬। কিন্তু এনডিএর শরিকদের মধ্যেই এ নিয়ে মতবিরোধ ছিল।  নাগরিকত্ব বিল নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত ছিল জনতা দল ইউনাইটেডও। তবে সেসব সত্বেও সংসদের উচ্চকক্ষে ভোটাভুটিতে সংখ্যার হিসবে জয়ে পেল সরকার।

ভারতীয় মুসলমানদের ভয় নেই, রাজ্যসভায় নাগরিকত্ব বিল পেশ করে বললেন শাহ

লোকসভায় নাগরিকত্ব বিল নিয়ে জোর বিতর্ক হলেও তা পাশ করাতে বিশেষ কাঠখড় পোড়াতে হয়নি নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহদের। সংসদের নিম্ন কক্ষে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশ হওয়ার দু’দিনের মধ্যে বুধবার রাজ্যসভায় বিল পেশ করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এদিন রাজ্যসভায় বিল পেশের বক্তৃতায় অমিত শাহ বলেন-

১. ভারতীয় মুসলমানদের ভয় পাওয়ার কারণ নেই।
২. সংখ্যালঘুদের ভয় পাওয়াতে চাইছে কিছু শক্তি। তারা আসলে রাজনীতি করতে চাইছেন।
৩. আমরা ভোটের পর রাজনীতি করছি না। যা কর্মসূচিতে বলেছিলাম, সেটাই করছি।
৪. শরণার্থীদের নিয়ে সবাই রাজনীতি করেছে, কেউ উপযুক্ত পদক্ষেপ নেয়নি।
৫. পড়শি দেশ থেকে আসা শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেবে সরকার।
৬. যাঁদের নামে মামলা আছে সেই মামলা তুলে নেওয়া হবে।
৭. এই বিলের মাধ্যমে অধিকার পাবেন শরণার্থীরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.