শ্রেয়সের দর বাড়ল সাড়ে ১৪ কোটি, স্টার্কের কমল ১৩ কোটি! নিলামের প্রথম দিন কার লাভ, কার ক্ষতি?

আইপিএলের নিলামে প্রথম দিন উঠলেন ৮৪ জন ক্রিকেটার। আগের বারের থেকে বহু ক্রিকেটারের দাম বাড়ল। কমেও গেল অনেকের। গত বারের আইপিএলজয়ী অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ারের দাম বেড়ে গিয়েছে অনেক কোটি। আবার গত নিলামে ২৪ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকায় বিক্রি হওয়া মিচেল স্টার্কের দাম কমে গিয়েছে।

কলকাতা নাইট রাইডার্স গত বার স্টার্ককে কিনেছিল ২৪ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকায়। অস্ট্রেলিয়ার সেই বাঁহাতি পেসার এ বারের নিলামে পেলেন ১১ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা। দিল্লি ক্যাপিটালস কিনেছে তাঁকে। গত বারের থেকে ১৩ কোটি টাকা কমে বিক্রি হলেন স্টার্ক। তাঁর দাম করলেও ভারতীয় পেসার শামির দাম বাড়ল। তিনি ২০২২ সালের নিলামে ৬ কোটি ২৫ লক্ষ টাকায় বিক্রি হয়েছিলেন। এ বারে তাঁর দাম ১০ কোটি টাকা। সানরাইজার্স হায়দরাবাদ কিনেছে শামিকে।

দাম বেড়েছে ঋষভ পন্থ এবং শ্রেয়স আয়ারের। ২০২২ সালে কলকাতা নাইট রাইডার্স শ্রেয়সকে কিনেছিল ১২ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা দিয়ে। এ বারের নিলামে পঞ্জাব কিংস ২৬ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা দিয়ে কিনেছে তাঁকে। আগের বারের থেকে দ্বিগুণের বেশি টাকা পেয়েছেন তিনি। পন্থকে দিল্লি রেখে দিয়েছিল ১৬ কোটি টাকায়। এ বারে ৯ কোটি টাকা বেশি পেলেন তিনি।

শ্রেয়সদের দাম বাড়লেও কমেছে লোকেশ রাহুল এবং ঈশান কিশনের মতো ক্রিকেটারের। লখনউ ১৭ কোটি টাকায় কিনেছিল রাহুলকে। এ বারে ১৪ কোটি টাকায় তাঁকে কিনেছে দিল্লি ক্যাপিটালস। অর্থাৎ, আগের থেকে ৩ কোটি টাকা কমে গিয়েছে ভারতীয় দলের ক্রিকেটারের। ২০২২ সালের নিলামে সবচেয়ে বেশি টাকা পেয়েছিলেন ঈশান। ১৫ কোটি ২০ লক্ষ টাকা দিয়ে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স কিনেছিল তাঁকে। সেই উইকেটরক্ষক ব্যাটারকে এ বারে ১১ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা দিয়ে কিনেছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ।

দাম বেড়েছে বেঙ্কটেশের। ২০ লক্ষ টাকায় তাঁকে ২০২১ সালে কিনেছিল কেকেআর। পরের বছর তাঁকে ধরে রাখে কলকাতা। ৮ কোটি টাকা দিয়েছিল সেই সময়। এ বারে তাঁর দাম বেড়ে হল ২৩ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা। যা বিরাট কোহলির থেকেও বেশি। আগের থেকে বেঙ্কটেশের দাম বাড়ল ১৫ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা।

দাম বেড়েছে জস বাটলারেরও। রাজস্থান রয়্যালস তাঁকে ২০২২ সালে কিনেছিল ১০ কোটি টাকায়। এ বারে ১৫ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকায় বাটলারকে কিনেছে গুজরাত টাইটান্স। তাঁর দাম বেড়ে গিয়েছে।

ভারতীয় পেসারদের মধ্যে দাম বেড়েছে আরশদীপ সিংহের। ৪ কোটি টাকায় তাঁকে কিনেছিল পঞ্জাব কিংস। এ বারে সেই দল তাঁকে ১৮ কোটি টাকা দিয়ে ফিরিয়ে নিয়েছে। দাম বেড়েছে মহম্মদ শামিরও। ২০২২ সালে ৬ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা দিয়ে তাঁকে কিনেছিল গুজরাত টাইটান্স। এ বারে তাঁকে হায়দরাবাদ কিনেছে ১০ কোটি টাকা দিয়ে। ভারতীয় পেসার মহম্মদ সিরাজেরও দাম বেড়েছে। ৭ কোটি টাকা দিয়ে তাঁকে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু কিনেছিল ২০২২ সালে। এ বারে ১২ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা দিয়ে গুজরাত কিনেছে তাঁকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.