সৌদি আরবের জেদ্দায় জোর কদমে চলেছে আইপিএল মেগা নিলাম (IPL 2025 Auction)। ৫৭৪ জন ক্রিকেটার নিলামে। দু’দিনে ৩৬৬ জন ভারতীয় ও ২০৮ জন বিদেশির দল নির্ধারণ হবে। ৪৮ জন ক্যাপড ও ৩১৮ জন আনক্যাপড ভারতীয় খেলোয়াড় রয়েছেন তালিকায়। এবং ১২ জন আনক্যাপড বিদেশি খেলোয়াড়ও রয়েছেন। ক্যাপড বিদেশি ১৯৩ জন ও আনক্যাপড বিদেশি ১২ জন। অ্যাসোসিয়েট দেশের ৩ খেলোয়াড়ও রয়েছেন তালিকায়। নিলামে এখনও পর্যন্ত ভারতীয় ক্রিকেটাররাই রাজত্ব করছেন বুক ফুলিয়ে। এদিন অনেকেরই নজর ছিল জাতীয় দলের ব্রাত্য তারকা ঈশান কিশানের (Ishan Kishan) উপর!
রোহিত শর্মা, জসপ্রীত বুমরা, সূর্যকুমার যাদব, তিলক ভার্মা ও হার্দিক পান্ডিয়াকে ধরে রেখেছিল মুম্বই। তারা ছেড়ে দেয় ঈশানকে। রবি নিলামে ২ কোটি টাকার বেস প্রাইসে ছিলেন জাতীয় দলের উইকেটকিপার-ব্যাটার। ভাবতে অবাক লাগে যে, ২০২২ সালে যে মুম্বই তাঁকে ১৫.২৫ কোটি টাকায় দলে নিয়েছিল, তারাই এদিন ঈশানের দর ৩ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা ছাড়িয়ে যেতেই আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। এমনকী আরটিএম কার্ডও ব্য়বহার করেনি নীতা আম্বানির টিম। ঈশানকে নিতে দিল্লি-পঞ্জাবের তুমুল লড়াই চলে। তবে কাব্য মারানের সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ১১.২৫ কোটি টাকায় দলে নেয় ঈশানকে। ভারতীয় ক্রিকেট সার্কিটে যিনি পরিচিত ‘পকেট ডায়নামো’ হিসেবে! ছোটখাটো চেহারায় বিস্ফোরক ব্য়াটিংয়ের জন্য়ই তিনি পেয়েছেন এই নাম। ২৬ বছরের পটনার ঈশান ২০১৬-১৭ মরসুমে গুজরাত লায়ন্সে খেলে চলে এসেছিলেন মুম্বইতে। ২০১৮-২০২৪ পর্যন্ত ছিলেন রোহিত শর্মা-হার্দিক পান্ডিয়াদের সঙ্গে।
গতবছরের শেষ দিকেও তাঁকে ভারতীয় দলের একজন সর-ফরম্যাট খেলোয়াড় হিসেবেই দেখা হত ঈশানকে। কিন্তু দীর্ঘদিন জাতীয় দলের বাইরে তিনি। চলতি বছর মার্চে বিসিসিআই যখন সিনিয়র পুরুষ দলের, বার্ষিক প্লেয়ার রিটেইনারশিপের (২০২৩-২৪) তালিকা ঘোষণা করেছিল, সেখানে ৩০ জন ক্রিকেটারকে চারটি গ্রেডে ভাগ করা হয়েছিল। কিন্তু নাম ছিল না ঈশান ও ও শ্রেয়স আইয়ারের। দুই তরুণ ক্রিকেটারই গিলোটিনে গলা দিয়েছিলেন। দেশের হয়ে না খেলাকালীন, ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতেই হবে। বোর্ডের এই সাফ নির্দেশিকা না মানার পরিণামই হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছেন তাঁরা। বিসিসিআই-এর চরম ‘অবাধ্যতায়’ বোর্ডের বার্ষিক চুক্তি থেকে বাদ যান তাঁরা। শ্রেয়স ছিলেন গ্রেড বি-তে, ঈশান ছিলেন গ্রেড সি-তে। ২০২৪ সালে ঈশান দেশের হয়ে একটি ম্য়াচও খেলেননি!