ট্রেনের ভিতর উদ্ধার দেহ। ডাউন কাটিহার এক্সপ্রেসে রক্তাক্ত দেহ। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার কাটিহার এক্সপ্রেস হাওড়া আসার পর এই দেহটি মেলে। প্রতিবন্ধী কামরায় পাওয়া যায় ওই ব্যক্তির রক্তাক্ত দেহ। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় ওই ব্যক্তি বালির বাসিন্দা। পেশায় তবলা শিক্ষক। শরীরে আঘাতের চিহ্ন। গতকাল হাওড়া স্টেশনে ট্রেনটি ঢুকলে দেখা যায় কামরার ওপরের বাঙকে ওই যাত্রীর চাদর চাপা দেহ। জি আর পি ও এর পি এফ আধিকারিকদের অনুমান এটা খুনের ঘটনা। স্বত প্রণোদিত মামলা শুরু করেছে হাওড়া জি আর পি। দেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য।
প্রাথমিক তদন্তে, মৃতের কাছে কোনওরকম পরিচয়পত্র বা টিকিট পাওয়া যায়নি। পরবর্তীকালে পরিবারের লোকেরা তাঁর দেহ শনাক্ত করে। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ৬০ বছরের তবলা শিক্ষক কাটিহার গিয়েছিলেন তবলার তালিম দিতে। সোমবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ তিনি বিহারের কাটিহার থেকে ট্রেনে চড়েন। রাতে বাড়ির লোকজনের সঙ্গে আর যোগাযোগ হয়নি।
উল্লেখ্য়, কিছুদিন আগেই হাওড়া স্টেশনে উদ্ধার বিপুল পরিমাণে সোনা, রুপো, টাকা। জানা গিয়েছে, গোয়েন্দাদের সহায়তায় রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্স অভিযান চালায়। ফলস্বরূপ সেই অভিযান সফলতা পায়। বিশ্বাসযোগ্য তথ্যের ভিত্তিতে, আরপিএফ ইন্সপেক্টর অনুপম কুমার এবং তাঁর দল ট্রেন নং-১৩০২৩ হাওড়া-গয়া এক্সপ্রেসে তল্লাশি চালায়। সেখানে তল্লাশির চালানোর সময় ৪৬ বছরের হরিশ কুমার ভার্মা নামে এক ব্যক্তির উপর সন্দেহ জাগে। হরিশ বিহারের ভাগলপুরের বাসিন্দা। বার্থ নং-২৫, কোচ এ-১ হরিশ ভ্রমণ করছিলেন।
হরিশকে জিজ্ঞাসাবাদের পর তিনি তাঁর ব্যাগে প্রচুর পরিমাণে সোনার গয়না বহন করার কথা স্বীকার করেন। তাঁর ব্যাগ থেকে ৭৭০ গ্রাম সোনার গয়না- যার মধ্যে লকেট, রিং, চেইন, কানের দুল এবং চুড়ি ছিল। মোট ৩৮৫ গ্রাম ওজনের তিনটি রুপোর সিংহাসন। ৪০হাজার টাকা নগদ বাজেয়াপ্ত করা হয়।