‘বিষ’ বাতাসে ধুঁকছে দিল্লি-সহ উত্তর ভারতের কয়েকটি রাজ্য। দূষণের জেরে শ্বাস নেওয়া দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে দিল্লিবাসীর কাছে। দূষণ কমাতে কড়া নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টও। কড়া পদক্ষেপও করেছে রাজ্য সরকার। তবে এখনও পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। শুধু দিল্লি নয়, দেশের অনেক শহরই দূষণের কবলে। সেই তালিকায় আছে লখনউ, পটনার মতো শহরও। কিন্তু দেশের এমন নয়টি শহর আছে, যা এখনও নিরাপদ।
কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড বাতাসের গুণগত মান নিয়ে একটি সূচক তৈরি করেছে। সেই সূচকের মাধ্যমেই স্থির হয় কোন শহরের বাতাস ‘ভাল’, ‘সন্তোষজনক’, ‘ভয়ানক’ বা ‘অতি ভয়ানক’। বর্তমান পরিস্থিতে দাঁড়িয়ে সেই সূচক অনুযায়ী, দেশের ন’টি শহরের বাতাসের মান ‘ভাল’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সেই তালিকায় সবার উপরে আছে আইজ়ল। এই শহরের গুণগত মানের সূচক ২৬। তার পরেই আছে গ্যাংটক (৩৫), শিলং (৩৬), গুয়াহাটি (৪০), চামরাজনগর (৪১), বাগালকোট (৪২), ত্রিশূর (৪৩)। এ ছাড়াও অরুণাচল প্রদেশের নারহালগুন (৫১) এবং অসমের নগাঁওয়ে (৫৩) বাতাসের গুণগত মান ‘সন্তোষজনক’।
দেশের মধ্যে এখন দিল্লির অবস্থাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর। গত কয়েক দিন ধরেই দিল্লির বাতাসের গুণমান সূচক উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। তবে বুধবার বাতাসের গুণমান সূচকের সামান্য উন্নতি হলেও বিপদ কাটেনি। কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের তথ্য বলছে, বুধবার সকালে রাজধানীর বাতাসের গুণমান সূচক নেমেছে ৪২২-এ। সাধারণত বাতাসের গুণমানের সূচক ৪৫০ অতিক্রম করলেই তা ‘অতি ভয়ানক’ বলে বিবেচিত হয়।
দূষণ পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে ইতিমধ্যেই দিল্লির সমস্ত স্কুলে অনলাইন মাধ্যমে পঠনপাঠন শুরু হয়েছে। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা কলেজগুলিতেও আপাতত অনলাইনে চলবে পঠনপাঠন। অনলাইন ক্লাস হবে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়েও। এ ছাড়াও ৫০ শতাংশ সরকারি কর্মীকে বাড়ি থেকে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দৃশ্যমানতা কম থাকার জন্য বাতিল হয়েছে একাধিক ট্রেন। আংশিক ব্যাহত হয়েছে বিমান পরিষেবাও।