সন্ধে ৬ থেকে ৮ আর রাত ১টা থেকে ৩টে। কসবাকাণ্ডের পর শহরের বিভিন্ন জায়গায় ২ দফায় নাকা তল্লাশির নির্দেশ দেওয়া হল পুলিসকে। আজ, রবিবার সন্ধ্যায় থেকে শুরু হয়ে গেল তল্লাশিও।
ঘটনাটি ঠিক কী? কয়েক দিনে আগে শিয়ালদহের বৈঠকখানা ৫টি বন্দুক ও ৯০ রাউন্ড-সহ এক ব্যক্তিকে আটক করেছিল কলকাতা পুলিসের এসটিএফ। এরপর শুক্রবার কসবা নিজের বাড়িতে সামনেই আক্রান্ত হন তৃণমূল কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষ। ভরসন্ধেয় তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর চেষ্টা করে দুই দুষ্কৃতী। কিন্তু কোনওকারণে বন্দুক থেকে গুলি বেরোয়নি। সেই ঘটনার পর হাতেনাতে পাকড়াও করা হয় ১ জনকে। তাঁর কাছে পাওয়া যায় আগ্নেয়াস্ত্র। পরে মূল অভিযুক্ত-সহ আরও ২ ধরা পড়ে।
কসবাকাণ্ডে পুলিসের ভূমিকায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেছিলেন, ‘এনাফ ইজ এনাফ। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার বলেছেন পুলিস য়ে অস্ত্র উদ্ধার কর। আন্তঃরাজ্য অপরাধীদের আটকাও। তারপরেও হা করে বসে থাকা যাবে না। পুলিসকে বলব, অ্য়াক নাউ। মুখ্যমন্ত্রীর বলার পরেও কেন অস্ত্র ঢুকছে? কী করে অস্ত্র ঢুকছে? গোয়েন্দারা কোথায়? নেটওয়ার্ক কোথায়? প্রত্যেকটা গ্রেফতার আমি দেখছি যে. বাইরের অপরাধী এখানে গ্রেফতার হচ্ছে। এত বাইরের অপরাধী আসছে কী করে? নেটওয়ার্ক কোথায়? বারবার মুখ্যমন্ত্রী বলছেন! মুঙ্গের থেকে অস্ত্র! মুঙ্গের থেকে অস্ত্র ধরার জায়গা কর’। এবার শুরু হল নাকা চেকিং।