আন্তঃরাজ্য মাদক পাচার কাজে পুলিসি ধরপাকড় এড়াতে সরকারি বাসকে হাতিয়ার করেছে পাচারকারীরা। দিঘা থেকে কলকাতা রাতে সরকারি বাসে করে গাঁজা পাচারের সময় পাকড়াও তিন মহিলা-সহ ১১ মাদক পাচারকারী। বাস কন্ডাক্টর ড্রাইভারকেও জিজ্ঞাসাবাদ চালানো চলছে। উদ্ধার প্রায় ২০০ কেজি গাঁজা।
সরকারি বাস থেকে প্রায় ২০০কেজি গাঁজা উদ্ধার করল কাঁথি থানার পুলিস। পুলিসের ধরপাকড় এড়াতে সরকারি বাসকে টার্গেট করেছিল আন্তঃরাজ্য মাদক পাচারকারীরা। সরকারি বাসের ড্রাইভার কন্টাকটার এই মাদক পাচার কাজে কতটা যুক্ত পুলিস জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে। প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে ওড়িশা থেকে কলকাতা ও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে কুইন্টাল কুইন্টাল গাঁজা পাচার কাজ চলত। দিঘা থেকে সরকারি বাসটি দুর্গাপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল। সেই বাসে ১১জন ব্যক্তি একাধিক ব্যাগে প্রায় ২০০কেজি গাঁজা নিয়ে ওঠে। গোপনসূত্রে খবর পেয়ে কাঁথির এসডিপিও দিবাকর দাস ও কাঁথি থানার আইসি প্রদীপ কুমার দাঁ-র নেতৃত্বে কাঁথি থানার পুলিস তল্লাশি চালিয়ে গাঁজা ভর্তি ব্যাগ আটক করে। সেইসঙ্গে ১১জনকে গ্রেফতার করা হয়।
জানা গিয়েছে, ওড়িশা থেকে গাঁজা নিয়ে বর্ধমান হয়ে কলকাতার উদ্দেশ্যে পৌঁছে দেওয়া হত এই গাঁজা। কয়েক মাস আগে বেসরকারি বাস বা লরির বিভিন্ন সামগ্রীর মধ্যে গাঁজা পাচারের সময় বেশ কয়েকবার ধরা পড়েছে গাঁজা পাচারকারীরা। কিন্তু এবার সরকারি বাসকে হাতিয়ার করেছিল পাচারকারীরা। পুলিস সূত্রে আরও জানা গিয়েছে পাচারকারীদের সঙ্গে আরও বেশ কয়েকটি টিম যুক্ত রয়েছে। তাদেরকেও ধরবার চেষ্টা করা হবে। আরও চাঞ্চল্যকর বিষয় এই কাজে মহিলারাও যুক্ত রয়েছে তাদেরকেও কাজে লাগানো হচ্ছে। গ্রেফতার হওয়া পাচারকারীদের মধ্যে তিনজন মহিলা রয়েছেন। গাঁজা ছাড়াও অন্য কোনও মাদক পাচারের সঙ্গে যুক্ত কিনা তাও খতিয়ে দিচ্ছে পুলিস।