পাকিস্তানের (Pakistan) প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Imran Khan) ট্যুইট করে ভারতের লোকসভায় পাশ হওয়া নাগরিকতা সংশোধন বিলের (Citizenship Amendment Bill) বিরোধিতা করলেন। এর আগে পাকিস্তান জম্মু কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে দেওয়ার বিরোধিতা করেছিল, এবার CAB এর বিরোধিতায় মুখ খুললেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ইমরান খান ট্যুইট করে মোদী সরকার (Modi Sarkar) আর রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের (Rss) উপর আক্রমণ করেন। ইমরান খান অভিযোগ করে বলেন, এই বিল দুই দেশের মধ্যে হওয়া চুক্তির বিরোধী।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ট্যুইটে লেখেন, ‘ভারতের লোকসভা দ্বারা যেই নাগরিকতা বিল পাশ করা হয়েছে, সেটির তীব্র নিন্দা জানাই আমরা। এই আইন পাকিস্তানের সাথে দ্বিপাক্ষিক সমঝোতা আর মানবাধিকার আইনের লঙ্ঘন করে। এই আইন রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের হিন্দু রাষ্ট্রের এজেন্ডা যেটা এখন মোদী সরকার লাগু করছে।”
আপনাদের জানিয়ে রাখি, এর আগে পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রালয়ের তরফ থেকে একটি বয়ান জারি করে এই বিলের বিরোধিতা করা হয়েছে। বিদেশ মন্ত্রালয়ের বয়ানে বলা হয়ছে যে, এই বিল দুই দেশের মধ্যে সমস্ত দ্বিপাক্ষিক চুক্তিকে সম্পূর্ণ ভাবে লঙ্ঘন করে, আর এই বিলে বিশেষ করে সংখ্যালঘুদের অধিকার আর তাঁদের সুরক্ষার জন্য উদ্বেগজনক।
ভারত সরকার যেই নাগরিকতা সংশোধন বিল পেশ করেছে, সেটি অনুযায়ী পাকিস্তান, বাংলাদেশ আর আফগানিস্তান থেকে ভারতে আসা হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন, পারসি, শিখ আর ইসাই শরণার্থীদের ভারতীয় নাগরিকতা দেওয়া কথা আছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, পাকিস্তান, বাংলাদেশ আর আফগানিস্তানের আইনে ওগুলো ইসলামিক দেশ, এই জন্য সেখানে মুসলিমরা সংখ্যালঘু না। এরজন্য মুসলিমদের এই বিলে যুক্ত করা হয়নি।
এটা প্রথমবার না যে, যখন পাকিস্তানের তরফ থেকে ভারতের কোন সিদ্ধান্ত নিয়ে এমন ভাবে আপত্তি জাহির করা হয়েছে। নাগরিকতা সংশোধন বিলের আগে ভারতীয় সংসদে জম্মু কাশ্মির থেকে ৩৭০ ধারা তুলে নিয়েছিল, তখনও পাকিস্তান চরম আপত্তি জাহির করেছিল। পাকিস্তান জম্মু কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়া নিয়ে আমেরিকা আর সংযুক্ত রাষ্ট্রে তুলেছিল! যদিও ভারতের কূটনীতির সামনে পাকিস্তান সব জায়গায় বিধ্বস্ত হয়।