লোকসভায় নাগরিকত্ব সংশোধন বিল পেশ করার সময় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) বলেন, এই বিল কোন সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে না। দেশের ০.১ শতাংশ সংখ্যালঘুও বিরোধী না এই বিল। বিরোধীরা বলেন, এই বিল সবার সমান অধিকারের বিরুদ্ধে। বিরোধীদের এই কথার পর অমিত শাহ বলেন, নাগরিকত্ব বিলে সমান অধিকার নিয়ে কোন ফারাক পড়েনা। এরপর অমিত শাহ বলেন, ১৯৭১ সালে ইন্দিরা গান্ধী বাংলাদেশিদের নাগরিকতা দিয়েছিলেন, পাকিস্তান থেকে আসা হিন্দুদের উনি নাগরিকতা দেননি। ১৯৭১ সালে পাক হিন্দুদের সাথে কেন এমন করা হল?
অমিত শাহ বলেন, আমি এই বিল নিয়ে প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর দিতে প্রস্তুত। এই বিলে কোথাও মুসলিম লেখা নেই। আমার বয়ানের পর বিরোধীদেরও বলার সুযোগ দেওয়া হবে। সমস্ত ইস্যু নিয়ে চর্চা হবে। তথ্য গুলোকে বিকৃত করে সদনকে ধোঁয়াশায় ফেলবেন না দয়া করে।
এরপর বিল নিয়ে চর্চা হওয়ার সময় অমিত শাহ বলেন, আমি গোটা দেশকে আশ্বস্ত করতে চাই যে, এই বিল সংবিধানের কোন ধারাকে লঙ্ঘন করবে না। সংবিধানের ১৪ ধারার উল্লেখ করে অমিত শাহ বলেন, এই ধারা আইন বানানোর জন্য কাউকে বাধা দেয়না। এটাই প্রথমবার নাগরিকতা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছেনা। ১৯৭১ সালে ইন্দিরা গান্ধী বলেছিলেন, বাংলাদেশ থেকে আসা মানুষদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। কংগ্রেস সাশনে উগান্ডা থেকে আসা মানুষদেরও নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে।
অমিত শাহ বলেন, পাকিস্তান, বাংলাদেশ আর আফগানিস্তানে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার হয়। ধার্মিক প্রতারণা হয়। কংগ্রেস ধর্মের ভিত্তিতে দেশ ভাগ করেছিল। যদি দেশ ভাগ না হত, তাহলে এই বিলের কোন দরকারই ছিলনা। কংগ্রেস আমাদের বাধ্য করেছে। যদি কোন মুসলিম আমাদের আইন অনুযায়ী আবেদন করে, তাহলে তাঁর কথা শোনা হবে। যেহেতু তাঁদের সাথে ধার্মিক প্রতারণা হয়নি, সেহেতু এই বিল আনা হয়েছে। আর এই বিলে ছয়টি ধর্ম হিন্দু, বৌদ্ধ, ইসাই, জৈন, শিখ আর পারসিদের নাগরিকতা দেওয়ার আইন আছে।