রামমন্দির উদ্বোধনের পরে অযোধ্যায় প্রথম দীপোৎসব পালন করল যোগী আদিত্যনাথের সরকার। ঘটনাচক্রে, উত্তরপ্রদেশে ন’টি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচনের ঠিক দু’সপ্তাহ আগে।
সরযূ নদীর তীরে আয়োজিত দীপাবলি সূচনাপর্বের এই অনুষ্ঠানের পোশাকি নাম ছিল ‘দীপোৎসব ২০১৪’। রামায়ণের কাহিনী বলছে, রাম বনবাসের পরে দীপাবলির সময়ে অযোধ্যায় ফিরে এসেছিলেন। যোগী সরকারের উদ্যোগে ২০১৫ থেকে দীপাবলির আগের দিন থেকে অযোধ্যায় দীপোৎসব শুরু হয়। তবে রামমন্দির প্রতিষ্ঠার পরে এ বারই ছিল প্রথম দীপোৎসব।
অযোধ্যায় গত বছর ২১ লক্ষ প্রদীপ এক সঙ্গে জ্বালানো হয়েছিল। উত্তরপ্রদেশ পর্যটন দফতরের দাবি, এ বার এক সঙ্গে ২৫ লক্ষ ১২ হাজার ৫৮৫টি প্রদীপ জ্বালিয়ে যোগী গিনেস বুকে নাম তুলতে চলেছেন। তা ছাড়া, সরযূর তীরে প্রদীপ প্রজ্জ্বলনকারী জনতার সংখ্যাও অতীতের সমস্ত নজির ভেঙে দিয়েছে বলে উত্তরপ্রদেশ সরকার জানিয়েছে।
বুধবার সরযূর তীরে এক সঙ্গে ১১০০ জন আরতি করেছেন। মালয়েশিয়া, কাম্বোডিয়া, নেপাল, ইন্দোনেশিয়া, মায়ানমার, তাইল্যান্ডের শিল্পীরা রামলীলায় অংশ নিয়েছেন। এমনকি, রাতের সাকেতনগরী দেখেছে ড্রোনের উড়ানও। তবে এর মধ্যে রাজনৈতিক বিতর্ক বেধেছে অযোধ্যার সমাজবাদী সাংসদ অবদেশ প্রসাদ দীপোৎসবে আমন্ত্রণ না পাওয়ার অভিযোগ তোলায়।
বুধবার অযোধ্যার দীপোৎসবে যোগী বলেন, ‘‘আজ ৫০০ বছর বাদে রামলালা নিজের বাড়িতে দীপাবলি পালন করছেন। তবে এটি সূচনা মাত্র। আজ যে ভাবে গোটা বিশ্বের নজর কেড়ে অযোধ্যা দীপোৎসবে শামিল হয়েছে, আগামী দিনে এ ভাবেই কাশী এবং মথুরাতেও উৎসব হবে।’’ ২০৪৭-এ স্বাধীনতার শতবর্ষের আগেই সেই কাজ শেষ করার সময়সীমাও বেঁধে দিয়েছেন তিনি। প্রশ্ন উঠেছে— দীপাবলির আগে কি জ্ঞানবাপী এবং শাহি ইদগাহ নতুন করে উস্কে দিলেন যোগী? অযোধ্যার পথে হেঁটে ওই দুই জমি বিতর্কও এখন আদালতে বিচারাধীন।