২০২২ সালের ডিসেম্বরে টেট পরীক্ষা হয়েছিল রাজ্যে, তারপর পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছিল কোনো সমস্যা নেই প্রতিবছর টেট পরীক্ষা হবে। কিন্তু কথা রাখতে পারল না পর্ষদ। জানা গেল, চলতি বছরে প্রাথমিকে নিয়োগে টেট পরীক্ষা হবে না। আর এই সিদ্ধান্তকেই কটাক্ষ করেছেন সুকান্ত মজুমদার। তাঁর কথায়, এটাই ভবিতব্য! এরাজ্যে সব হবে চাকরি হবে না।
টেট পরীক্ষা না হওয়ার প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারকে নিশানা দেগে সুকান্ত মজুমদার বলেন, এটা নতুন কিছু নয়। তৃণমূল কংগ্রেসের আমলে চাকরি বাতিল হয়ে যাওয়া, পরীক্ষা বাতিল হয়ে যাওয়া, এগুলোই ভবিতব্য। বাদবাকি সব চলবে, চাকরি হবে না। বেকার যুবকদের ভবিষ্যৎকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হচ্ছে। তিনি বলেছেন, শুধু বেকারদের চাকরি পাওয়া না,এসব প্রাথমিক স্কুলগুলিতে গরিব মানুষের বাচ্চারা পড়াশোনা করে। তাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার। আগামী দিনে যাতে কোনো গরিবের ছেলে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, অধ্যাপক হতে না পারে তার ব্যবস্থা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উনি সবাইকে পাউচ প্যাক খাওয়াবেন, সবাই পাউচ প্যাক নিয়ে ব্যস্ত থাকবে।
সোমবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল জানিয়েছেন, এবছর প্রাথমিকে নিয়োগে টেট পরীক্ষা হবে না। আইনি জটিলতার জেরে টেট পরীক্ষা হচ্ছে না।
প্রাথমিকে নিয়োগের টেট পরীক্ষা ও নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগে মামলা চলছে। দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল নিয়োগ প্রক্রিয়া। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে টেট পরীক্ষা হয়েছিল রাজ্যে। তারপর পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছিল কোনো সমস্যা নেই, প্রতি বছর টেট হবে। কিন্তু সোমবার জানা গেল, পর্ষদ কথা রাখতে পারেনি। যার ফলে এ বছর আর পরীক্ষা হচ্ছে না।
গৌতম পাল বলেন, আমরা আগে দ্রুত নিয়োগ করবো, তারপর পরীক্ষা নেব। ২০২২ এবং ২৩- এর পর নিয়ম মেনে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পর্ষদের সভাপতি বলেন, ২০২২ সালে ক্ষমতায় আসার পর আমার মূল উদ্দেশ্য ছিল প্রত্যেক বছর টেট পরীক্ষা নেওয়া। পরপর দু’বছর আমরা তা করেছি। কিন্তু দু’ বছরে যারা উত্তীর্ণ হয়েছেন বিভিন্ন আইনি জটিলতার কারণে তাদের নিয়োগ এখনো শুরু হয়নি। তাই টেট এ বছর না হলেও কিছুটা পিছিয়ে তা ছয় মাসের মধ্যে করা হবে।
প্রাথমিক শিক্ষকদের যোগ্যতা বিচারের ক্ষেত্রে প্রাথমিক পরীক্ষায় টেট পাঁচ বছর পর ২০২২- এ পরীক্ষা দিয়েছিল লক্ষাধিক পরীক্ষার্থী। সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয় দেড় লক্ষ প্রার্থী। এদের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়নি। ২০২৩-এ পরীক্ষা হলেও এখনো ফল প্রকাশ হয়নি। স্বাভাবিকভাবে পরবর্তীতে বেড়ে যাবে চাকরি প্রার্থীর সংখ্যা।