সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর তৎপর হলো রাজ্য সরকার। বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। জানাগেছে, কলকাতার সব হাসপাতাল থেকে সিভিক ভলান্টিয়ারে তুলে নেওয়া হলো।
মঙ্গলবার আরজিকর মামলার শুনানি চলাকালীন সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়ে একগুচ্ছ প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় রাজ্যকে। এর পরেই বড় সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য প্রশাসন। সিভিক- এর পরিবর্তে বেসরকারি রক্ষী ও পুলিশ কনস্টেবলের সংখ্যা বাড়ানোর ভাবনা রয়েছে রাজ্য প্রশাসনের বলে খবর।
আর জি কর কাণ্ডে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়। সিবিআই চার্জসিটেও সঞ্জয়ের যোগ নিয়ে একাধিক প্রমাণের উল্লেখ রয়েছে।পুলিশের তদন্তের তথ্যে ক্রাইম সিন থেকে উদ্ধার হয় চুল, সিমেন স্যাম্পেল। উদ্ধার হাওয়া লালা রস সিভিক সঞ্জয়ের।
এই নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট রাজ্যকে প্রশ্ন করে হাসপাতালে ভলান্টিয়ারদের প্রবেশ নিয়ে। প্রশ্ন ওঠে সিভিকদের নিয়োগ পদ্ধতি ও যোগ্যতা মান নিয়ে। নিয়োগের আগে প্রার্থীদের ব্যাকগ্রাউন্ড পরীক্ষা কিভাবে হয়েছিল? সিভিকদের বেতন বা ভাতা কত? কোথায় ডিউটি দেওয়া হয়? কী ধরনের কাজে তারা নিয়োজিত থাকে? রাত্রি সাথী প্রকল্পে সিভিক ভলান্টিয়ার- এর নিয়োগ কেন? সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ করে কে বা কারা? সিভিদের নিয়োগের পদ্ধতি ও যোগ্যতা মানে কী? নিয়োগের আগে প্রার্থীদের ব্যাকগ্রাউন্ড পরীক্ষা কিভাবে হয়? এক কথায় সিভিক বাহিনী নিয়ে গত শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের তোপের মুখে পড়েছে রাজ্য সরকার। আর তারপরেই কলকাতার সব হাসপাতাল থেকে সিভিক ভলান্টিয়ার প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য প্রশাসন।