৪৮ ঘণ্টা পরেও আগুনে ঝলসে যাওয়া তরুণীর পরিচয় জানতে না পেরে সোশ্যাল মিডিয়ার সাহায্য নিল পুলিশ। এখনও অধরা খুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুষ্কৃতীরা। ইংরেজবাজার থানার কোতোয়ালি গ্রাম পঞ্চায়েতের টিপাজানি গ্রামে আমবাগানের ভিতর থেকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় ওই যুবতীর দেহ উদ্ধার হয়। সেই পুরো পরিস্থিতির ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে সাধারণ মানুষের সাহায্য চাইল জেলা পুলিশ।
এই খুনের ঘটনা ঘিরে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে গোটা জেলায়। বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে মোমবাতি মিছিল করা হয়। শহরের ফোয়ারা মোড়ে শুক্রবার রাতে ডান-বাম সব দলই আলাদাভাবে এই খুনের ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়।
শরীরের প্রায় ৯০ শতাংশ ঝলসে যাওয়া ওই তরুণীর খুনের কিনারা করতে একটি বিশেষ তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা পুলিশ। বছর কুড়ির ওই তরুণীর দেহ যে জায়গায় পড়েছিল সেখানকার মাটি, পোড়া ঘাস সহ বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করেছে তদন্তকারী দল। আজ ঘটনাস্থলে আসার কথা ফরেনসিক দলের। শুক্রবারও মালদার পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া সহ পদস্থ কর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত এই খুনের কোন বিশেষ সূত্র পায়নি পুলিশ। এই পরিস্থিতিতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় এই বিষয়টি নিয়ে পোস্ট করে সাহায্য চাওয়া হয়েছে সাধারণ মানুষের । পুলিশসুপার জানান, এই ঘটনার কিনারা করতে তৎপর তাঁরা।
ঘটনাস্থল থেকে মেলা নানা তথ্যপ্রমাণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার ভোরে জমিতে কাজ করতে যাওয়ার সময় টিপাজনি এলাকার চাকলা মোড়ে ওই তরুণীর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন এলাকার মানুষ। খবর রটতেই তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয় গোটা এলাকায়। প্রমাণ লোপাটের জন্যই ধর্ষণের পরে ওই তরুণীকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশেরও প্রাথমিক অনুমান, ধর্ষণ করে খুন করার পর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ওই তরুণীর দেহ।