রবিবার রাতে গণধর্ষণের শিকার একাদশ শ্রেনীর ছাত্রী। এমনই ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগ। ঘটনাটি মালদার বৈষ্ণবনগর থানা এলাকার। দশমী উপলক্ষে এলাকার এক অনুষ্ঠানে গিয়েছিল এই ছাত্রী। বাড়ি ফেরার পথে নির্যাতনের শিকার হয় ছাত্রী। স্থানীয় মাঠে অচৈতন্য অবস্থায় পাওয়া যায় এই ছাত্রীকে। গুরুতর জখম হয়ে এই ছাত্রী বর্তমানে মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।অভিযোগ নিতে পুলিসের নিতে গড়িমসি।
পরবর্তীতে অভিযোগ নেওয়া হয়। তবুও অভিযুক্তরা এখনও অধরা। পুলিসের নিক্সিয়তার অভিযোগ তুলে বৈষ্ণবনগর থানা ঘেরাও বিজেপির।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই মর্মান্তিক ধর্ষণের খবর জানা যায়। নাতনিকে ধর্ষণ করে ১০ বছরের জন্য শ্রীঘরে গেল দাদু। না গিয়েছে, বছর ১৬ এর নাবালিকাকে ধর্ষণ করেছিল ৬৫ বছরের প্রতিবেশী এক দাদু। সাক্ষ্য প্রমাণ গ্রহণের পর অভিযুক্তকে ১০ বছরে জন্য সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দিল জলপাইগুড়ি বিশেষ পকসো আদালতে। একইসঙ্গে আরও ৫ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।
অনাদায়ে আরও ১ মাসের কারাদন্ডের আদেশ। একই সঙ্গে নাবালিকাকে ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের জন্য লিগাল এইড অথরিটিকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। যদিও তার বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত। সহকারী সরকারি আইনজীবী দেবাশিষ দত্ত জানিয়েছেন, করোনা কালের ২০২০ সালে ডিসেম্বর মাসে এই ঘটনা ঘটেছিল। বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগ নিয়ে নাবালিকার বাড়িতে চড়াও হয় এই বৃদ্ধ। এরপর তাকে ধর্ষণ করে। বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য ভয় দেখায়।
এরপর বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় নাবালিকারা মা তাকে দেখে ফেলে। ঘরে ঢুকলে মেয়ে তার মাকে সব খুলে বলে। এরপর জলপাইগুড়ি মহিলা থানায় মামলা দায়ের করে। এরপর তদন্ত শুরু হয়। ২০২১ সালে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিস। জেল হেফাজত হয় তার। সেখান থেকেই গত ৩ বছর ধরে তার মামলার শুনানি চলে। মোট ৮ জন সাক্ষ্য দেয়। সব পক্ষ শোনার পর মাননীয় বিচারক ইন্দবর ত্রিপাঠী সোমবার অভিযুক্তকে ১০ বছরের জন্য সশ্রম কারাদণ্ডর নির্দেশ দিয়েছেন।