Agniveer| Jhargram: স্বপ্ন ছিল বাবাকে পাকা বাড়িতে রাখবে, দশমীতে ঘরে ফিরল অগ্নিবীরের কফিনবন্দি দেহ

অগ্নিবীর ক্যাম্পে গিয়ে আর ঘরে ফিরল না ছেলে। বিজয়াতেই মায়ের সঙ্গে বিসর্জন হয়ে গেল ছেলের। শনিবার ঝাড়গ্রামে ফিরল অগ্নিবীর সৈকত শিটের নিথর দেহ। পুজোয় আনন্দ সরিয়ে সেই মরদেহ দেখতে ভেঙে পড়ল গোটা গ্রাম। মাত্র ২১ বছর বয়সেই প্রাণ গেল সুকজোড়া গ্রামের তরতাজা তরুণের।

সব বাধা পেরিয়ে এবছর এপ্রিল মাসে অগ্নিবীর ক্যাম্পে যোগ দেন সৈকত শিট। ট্রেনিং ছিল হায়দরাবাদে। গত ১০ অক্টোবর সৈতক ও তার সহকর্মীরা ফায়ারিং অনুশীলনে যায় নাসিকের আটারি স্টেশনে। অনুশীলনের সময়েই ঘটে যায় মারাত্মক দুর্ঘটনা। মৃত্যু হয় সৈকত  ও তার এক সহকর্মীর। একজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

শনিবার সকালে সেনা বাহিনীর জওয়ানরা সৈকতের কফিনবন্দি দেহ ঝাড়গ্রামের বিনপুর থানার সুখজোড়া গ্রামে নিয়ে আসে। শোকের ছায়া নেমে আসে গ্রাম জুড়ে। কান্নায় ভেঙে পড়েন  বাড়ির লোকজন।

ছোটোবেলা থেকেই সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার স্বপ্ন দেখেছিল সুকজোড়া গ্রামের ছেলেটি। অনেক পরিশ্রমের পর সুযোগে আসে এবং সে সমস্ত বাধা অতিক্রম করে যোগ দেন অগ্নিবীর ক্যাম্পে। হঠাৎ যেন অন্ধকার নেমে আসে পরিবারে। শোক স্তব্ধ গোটা গ্রাম, তাকে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানাতে গোটা গ্রাম জুড়ে লাগানো হয় জাতীয় পতাকা।

স্থানীয় সূত্রে খবর, ছেলেটি অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারের। ছিল না মাথা গোঁজার তেমন কোন ঠাঁই। অক্লান্ত পরিশ্রম করে বাবাকে পাকা বাড়িতে রাখাই ছিল তার একমাত্র স্বপ্ন। গত ১০ তারিখ সেই স্বপ্ন একবারে ভেঙেচুরে শেষ।

সৈকতের দাদা বলেন, ছোট থেকে মানুষ করেছি ভাইকে। আমরা খুব গরিব ঘরের মানুষ আমরা। গ্রাজুয়েশন শেষ করেছিল। ওর স্বপ্ন ছিল আর্মিতে চাকরি পাবে। খুব সরল ছেলে ছিল। পড়াশোনায় ভালো। এই কষ্ট সহ্য করা যায় না। কেউ যেন এরকম ভাই না হারায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.