ত্রিধারায় ‘বিচার চাই’: হাই কোর্টের নির্দেশের ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় পর ছাড়া পেলেন ধৃত ন’জন

ত্রিধারা সম্মিলনী পুজোমণ্ডপে গিয়ে ‘বিচার চাই’ স্লোগান তোলার অভিযোগে ধৃত ন’জনকে শুক্রবার দুপুরে অন্তর্বর্তী জামিন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। সেই নির্দেশের ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় পর জেল থেকে ছাড়া পেলেন ধৃতেরা। রবীন্দ্র সরোবর থানা থেকে জামিনে মুক্তি পেলেন তাঁরা।

উল্লেখ্য, বুধবার রাতে ত্রিধারার পুজোয় গিয়ে ‘বিচার চাই’ স্লোগান তুলে গ্রেফতার হয়েছিলেন ন’জন আন্দোলনকারী। বৃহস্পতিবার নিম্ন আদালত তাঁদের সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল। শুক্রবার কলকাতা হাই কোর্ট ধৃত সুজয় মণ্ডল, উত্তরণ সাহা রায়, কুশল কর, জহর সরকার, সাগ্নিক মুখোপাধ্যায়, নাদিম হাজারি, ঋতব্রত মল্লিক, চন্দ্রচূড় চৌধুরী এবং দৃপ্তমান ঘোষকে জামিনে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেয়। তার পরই তাঁদের মুক্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়। যদিও শুক্রবার তাঁদের ছাড়া হয়নি।

শনিবার দুপুরের পর ধৃতদের ছাড়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। সূত্রের খবর, রবীন্দ্র সরোবর থানায় দায়ের হওয়া অভিযোগের ভিত্তিতেই নয় আন্দোলনকারীকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছিল পুলিশ। পরে নিম্ন আদালতের নির্দেশের পর তাঁদের পাঠানো হয় লালবাজারের সেন্ট্রাল লক আপে। সেখানেই ছিলেন তাঁরা। যে হেতু রবীন্দ্র সরোবর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছিল, তাই তাঁদের জামিন দেওয়া হবে সেখান থেকেই। বিকেল থেকেই থানার বাইরে ভিড় বাড়তে থাকে। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার পর রবীন্দ্র সরোবর থানা থেকে একে একে বেরিয়ে আসেন সুজয়েরা।

রবীন্দ্র সরোবর থানার সামনে ভিড় করছেন সাধারণ মানুষ।

ধৃতদের আইনজীবীদের অভিযোগ, পুলিশ ইচ্ছাকৃত ভাবে ধৃতদের ছাড়তে জটিলতা সৃষ্টি করছে। শুক্রবারই তাঁদের মুক্তি দেওয়া যেত। কিন্তু পুলিশ তা করেনি। একই অভিযোগ তুলেছেন ধর্মতলার অনশনমঞ্চে উপস্থিত জুনিয়র ডাক্তারেরাও।

প্রসঙ্গত, ত্রিধারাকাণ্ডের মামলার শুনানিতে শুক্রবার প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় পুলিশ এবং রাজ্য সরকারকে। আদালত মন্তব্য করে, ‘‘ক্ষমতা রয়েছে বলেই পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারে না।’’ সপ্তমীর সন্ধ্যায় ওই প্রতিবাদের মধ্যে হুড়োহুড়িতে তিন জন পুলিশকর্মী আহত হয়েছিলেন দাবি করে পুলিশ। আদালত পর্যবেক্ষণে বলেছে, ‘আহতদের’ কেবল ব্যথানাশক এবং হজমের ওষুধ দেওয়া হয়েছে। তার পরই ত্রিধারাকাণ্ডে বিচারপতি শম্পা সরকার নির্দেশ দেন, শীঘ্রই অন্তর্বর্তী জামিনে মুক্তি দিতে হবে ধৃতদের। তবে জামিন পেলেও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংক্রান্ত জটিলতার কারণে শুক্রবার তাঁরা ছাড়া পাননি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.