দ্বিতীয় দিনের খেলা দেখেই বোঝা গিয়েছিল, মুলতানের উইকেট ব্যাটারদের স্বর্গ। তৃতীয় দিন সেটা আরও স্পষ্ট হল। গোটা দিন ব্যাট করল ইংল্যান্ড। উঠল ৩৯৬ রান। শতরান করলেন জো রুট ও হ্যারি ব্রুক। সারা দিনে মাত্র দুই উইকেট নিতে পারলেন পাকিস্তানের বোলারেরা। তৃতীয় দিনের শেষে পাকিস্তানের থেকে ৬৪ রান পিছিয়ে ইংরেজরা।
দ্বিতীয় দিনের শেষে ইংল্যান্ডের রান ছিল ১ উইকেট হারিয়ে ৯৬। ব্যাট করছিলেন রুট ও জ্যাক ক্রলি। তৃতীয় দিন তাঁরা ব্যাটিং শুরু করেন। শুরুতেই ক্রলির উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। ৭৮ রান করে শাহিন আফ্রিদির বলে আউট হন তিনি। সেই সাফল্য কাজে লাগাতে পারেনি পাকিস্তান। তৃতীয় উইকেটে রুট ও বেন ডাকেট জুটি বাঁধেন। দু’জন সাবলীল ব্যাট করছিলেন।
চলতি বছর দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছেন রুট। মুলতানেও তা কাজে লাগালেন তিনি। তাঁকে সমস্যায় ফেলতে পারেননি পাকিস্তানের বোলারেরা। রুট সময় নিয়ে খেললেও ডাকেট দ্রুত রান করছিলেন। টেস্টে ১০০-র বেশি স্ট্রাইক রেট চলছিল তাঁরা। দেখে মনে হচ্ছিল, শতরান করবেন তিনি। কিন্তু ৭৫ বলে ৮৪ রান করে আমির জামালের বলে আউট হন তিনি।
তিন উইকেট পড়লেও এক বারও দেখে মনে হয়নি ইংল্যান্ডের ব্যাটারেরা কোনও সমস্যায় পড়েছেন। পিচ থেকে পাকিস্তানের বোলারেরা কোনও সাহায্য পাচ্ছিলেন না। অনেক পরিশ্রম করছিলেন তাঁরা। সবচেয়ে বেশি ওভার বল করেন স্পিনার আব্রার আহমেদ। ৩৫ ওভার বল করেন তিনি। সবচেয়ে বেশি ১৭৪ রানও দেন তিনি। টেস্টে নিজের ৩৫তম শতরান করেন রুট। টেস্টে ইংল্যান্ডের ব্যাটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রানের মালিক হয়েছেন তিনি। ছাপিয়ে গিয়েছেন অ্যালিস্টার কুককে।
পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে আক্রমণাত্মক ব্যাট করেন ব্রুক। পাকিস্তানের পিচে খেলতে তিনি ভালবাসেন। এই টেস্টেও তা দেখা গেল। তিনিও শতরান পূর্ণ করেন। পাকিস্তানের মাটিতে টানা চারটি টেস্টে শতরান করলেন তিনি। তৃতীয় দিনের শেষ পর্যন্ত এই দুই ব্যাটারই অপরাজিত রয়েছে। দ্বিশতরানের দিকে এগোচ্ছেন রুট। অর্ধশতরানের কাছে ব্রুক।
তৃতীয় দিনের শেষে ইংল্যান্ডের রান ৩ উইকেটে ৪৯২। রুট ১৭৬ ও ব্রুক ১৪১ রান করে অপরাজিত রয়েছেন। তৃতীয় দিনের শেষে পাকিস্তানের থেকে ৬৪ রান পিছিয়ে থাকলেও চতুর্থ দিন বড় লিডের পথে এগোচ্ছে ইংল্যান্ড।