রাস্তার মাঝখানে বিক্ষিপ্ত ভাবে দাঁড়িয়ে বাস, তেলের ট্যাঙ্কার! চালকেরা গাড়ি থেকে নেমে রাস্তা দাঁড়িয়ে। যার জেরে এক ইঞ্চি নড়তে পারছে না আগেপিছে দাঁড়িয়ে থাকা বাকি গাড়ি। বুধবার, ষষ্ঠীর বিকেলে এ ভাবেই অবরুদ্ধ হয়ে রইল কলকাতার ধর্মতলার মোড়। চাঁদনি চকে তুলকালাম পরিস্থিতির পর যানজট ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল সেখানেও। গাড়িচালকদের একাংশের দাবি, পুলিশ গাড়ির চাবি কেড়ে নিয়ে ইচ্ছাকৃত ভাবে এই যানজট তৈরি করেছে। পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভও দেখান গাড়িচালকেরা। যদিও পুলিশের তরফে এই সব অভিযোগ নিয়ে সরকারি ভাবে কিছু জানানো হয়নি।
বুধবার বিকেলে চাঁদনি চক চত্বরে তুলকালাম পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল পুলিশ এবং জুনিয়র ডাক্তারদের মধ্যে বচসাকে ও ধস্তাধস্তিকে কেন্দ্র করে। ‘অভয়া পরিক্রমা’র মিনিডোর পুলিশ আটকে দেওয়ায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। সেই ঘটনার জেরে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ। শেষমেশ অবশ্য পুলিশের হাত থেকে মিনিডোর ছাড়িয়ে মিছিল করে ধর্মতলার অনশন মঞ্চের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। ঠিক সেই সময়েই দেখা যায়, অবরুদ্ধ হয়ে রয়েছে ধর্মতলার চার মাথার মোড়। রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে রয়েছে বাস, তেলের ট্যাঙ্কার আর একাধিক ছোট গাড়ি। ভিড়ে গিজগিজ গোটা এলাকা। চালকেরা গাড়ি থেকে নেমে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ক্ষোভ উগরে দেন পুলিশের বিরুদ্ধে। তাঁদের দাবি, পুলিশ তাঁদের গাড়ির চাবি খুলে নিয়েছে! পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভও চলে।
ওই যানজটের জেরে অবশ্য জুনিয়র ডাক্তারদের মিছিল আটকায়নি। আন্দোলনকারীরাই গাড়ি সরানোর ব্যবস্থা করে ‘অভয়া পরিক্রমা’র মিনিডোর নিয়ে অনশন মঞ্চে পৌঁছন। সেখানে জমায়েত করেছেন তাঁরা। জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি, মিনিডোর নিয়ে তাঁদের মিছিল আটকাতেই পুলিশ ইচ্ছাকৃত ভাবে যানজট তৈরি করার কৌশল নিয়েছিল। তাঁদের কারও কারও এ-ও দাবি, পুলিশ আসলে দেখানোর চেষ্টা করেছিল যে, জুনিয়র ডাক্তারদের মিছিলের জন্যই যানজট তৈরি হচ্ছে। সাধারণ মানুষের মনে জুনিয়র ডাক্তারদের মিছিল নিয়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি করতেই যানজট তৈরির কৌশল নিয়ে থাকতে পারে পুলিশ।