মুলতানে পাকিস্তান বনাম ইংল্যান্ড প্রথম টেস্টে দাপট ব্যাটারদের। পিচ থেকে যে বোলারেরা বিশেষ সুবিধা পাচ্ছেন না সেটা পাকিস্তানের প্রথম ইনিংস থেকেই পরিষ্কার। দলের তিন ব্যাটার শতরান করেছেন। প্রথম দিন শতরান করেছিলেন অধিনায়ক শান মাসুদ ও ওপেনার আবদুল্লা শফিক। দ্বিতীয় দিন সেই তালিকায় আঘা সলমনও। তিন ব্যাটারের দাপটে প্রথম ইনিংসে ৫৫৬ রান করেছে পাকিস্তান। ইংল্যান্ড ব্যাট করতে নেমে দিনের শেষে ১ উইকেট হারিয়ে ৯৬। দ্বিতীয় দিনের শেষে পাকিস্তান এগিয়ে ৪৬০ রানে।
প্রথম দিনের শেষে পাকিস্তানের রান ছিল ৪ উইকেটে ৩২৮। দ্বিতীয় দিন শুরু থেকে ভাল খেলছিলেন সাউদ শাকিল ও নাসিম শাহ। অর্ধশতরান করেন শাকিল। ভাল দেখাচ্ছিল তাঁকে। ৩০ রান করে আউট হন নাসিম। যে উইকেট ব্যাটারদের স্বর্গ, সেখানে ব্যর্থ মহম্মদ রিজ়ওয়ান। শূন্য রানে ফেরেন তিনি। দেখে মনে হচ্ছিল, ৪২০-৪২৫ রানের মধ্যে পাকিস্তানের ইনিংস শেষ হয়ে যাবে। সেখান থেকে শাকিলের সঙ্গে জুটি বাঁধেন সলমন। সপ্তম উইকেটে ৫৭ রান যোগ করেন তাঁরা।
ধীরে ধীরে শতরানের দিকে এগোচ্ছিলেন শাকিল। কিন্তু ৮২ রানের মাথায় শোয়েব বশিরের বলে আউট হন তিনি। শাকিল শতরান না পেলেও নিরাশ করেননি সলমন। তাঁকে সঙ্গ দেন শাহিন আফ্রিদি। এই দুই ব্যাটার দলকে ৫৫০ পার করান। শাহিন ২৬ রানে আউট হন। দলের তৃতীয় ব্যাটার হিসাবে শতরান করেন সলমন। ৫৫৬ সালে পাকিস্তান অল আউট হলেও ১০৪ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।
জবাবে ইংল্যান্ডের ইনিংসের শুরুটা ভাল হয়নি। বেন ডাকেটের বদলে জ্যাক ক্রলির সঙ্গে ওপেন করতে নামেন অধিনায়ক ওলি পোপ। তাঁর এই সিদ্ধান্ত কাজে লাগেনি। দ্বিতীয় ওভারেই পোপ শূন্য রানে আউট হন। তাঁকে আউট করেন নাসিম শাহ। তার পরে অবশ্য ইংল্যান্ডের ইনিংস সামলান ক্রলি ও জো রুট। চলতি বছর স্বপ্নের ফর্মে রয়েছেন রুট। সেই ফর্ম কাজে লাগান তিনি। ক্রলি দ্রুত রান তুলছিলেন। দ্বিতীয় দিন ২০ ওভার ব্যাট করে ইংল্যান্ড। ১ উইকেটে ৯৬ রান করে তারা। দিনের শেষে ক্রলি ৬৪ ও রুট ৩২ রানে অপরাজিত রয়েছেন।
প্রথম দু’দিনের খেলা দেখে পরিষ্কার, এই পিচে উইকেট নিতে প্রচুর পরিশ্রম করতে হবে বোলারদের। যদি তৃতীয় দিন পাকিস্তানের বোলারেরা ইংল্যান্ডকে অল আউট না করতে পারেন তা হলে এই টেস্টের ফয়সালা হওয়ার সম্ভাবনা কম।