রাত পোহালেই জম্মু-কাশ্মীরের বিধানসভা ভোট গণনা। উপত্যকায় সরকার গড়তে মেহবুবা মুফতির পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টি(PDF)-র সঙ্গে সমঝোতার বার্তা দিলেন ন্যাশনাল কনফারেন্সের(NC)সভাপতি ফারুক আবদুল্লা। সাংবাদিকদের প্রশ্নে তাঁর সোজাসাপ্টা জবাব, ‘কেন নয়’? দুই দলই যে কাশ্মীরের মানুষের অবস্থায় উন্নতির ঘটাতে চাই, উল্লেখ করলেন সেকথাও।
আগে ছিল রাজ্য, এখন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। প্রায় এক দশক পর বিধানসভা ভোট হল জম্মু-কাশ্মীরে। কবে? ১৮ সেপ্টেম্বর প্রথম দফায় ২৪ বিধানসভা কেন্দ্রে, তারপর দ্বিতীয় দফায় ২৬ ও ১ অক্টোবর ৪০টি আসনে। শুধু তাই নয়, তৃতীয় দফায় রেকর্ড হারে ভোট পড়ল।
আগামীকাল, বুধবার ভোট গণনা ও ফলপ্রকাশ। বুথফেরত সমীক্ষা ইঙ্গিত, জম্মু-কাশ্মীরে এবার কোনও দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না। তবে ভোটের ফলে এগিয়ে থাকবে কংগ্রেস ও ন্য়াশনাল কনফারেন্স জোট। কিন্তু বিরোধীদের জোটে নেই মেহবুবা মুফতির পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টি! সেক্ষেত্রে বিজেপি সরকার গঠনের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতেই বিভেদ ভুলে কাশ্মীরের মানুষের স্বার্থে মেহবুবা মুফতি-র সঙ্গে হাত মেলানোর ইচ্ছা প্রকাশ করলেন ফারুক আবদুল্লা।
২০১৯ সালে জম্মু-কাশ্মীরকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করে মোদী সরকার। জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন আইনে বলা হয়, লেফটেন্যান্ট গভর্নর দু’জন মহিলাকে বিধানসভার সদস্য হিসেবে মনোনয়ন করতে পারেন, যদি তিনি মনে করেন, বিধানসভায় মহিলাদের যথেষ্ট প্রতিনিধিত্ব নেই। এরপর গত বছর অর্থাত্ আবার সেই আইনটি সংশোধন করা হয়। সংশোধিত আইনে বিধানসভার আরও ৩ সদস্যকে মনোনীত করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে লেফটেন্যান্ট গভর্নরকে।
কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছেন ফারুক আবদুল্লা। তাঁর মতে, ‘যদি লর্ড সাহেব, তাহলে সরকার গঠন করে লাভ কি? এসবের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই করতে হবে’। সঙ্গে হুঁশিয়ারি, ‘কেন্দ্রীয় সরকার এই সিদ্ধান্ত বহাল রাখে, তাহলে সুপ্রিম কোর্টে যাবে ন্যাশনাল কনফারেন্স’।