কিছুদিন আগেই বিতর্কিত নাগরিকত্ব বিল অনুমোদন করেছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। শুক্রবার বিষয়টি নিয়ে প্রথমবার মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর দাবি, যাঁরা ধর্মীয় কারণে নিজেদের দেশে নিপীড়নের শিকার, তাঁরা ভারতের নাগরিকত্ব পেলে স্বস্তি পাবেন। তাঁদের কল্যাণ হবে। অযোধ্যা রায় সম্পর্কে তিনি বলেন, আগে এসম্পর্কে অনেক জল্পনা-কল্পনা হয়েছিল। কিন্তু রায় বেরোনর পরে সে সবই মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়েছে।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদপত্রের আয়োজিত সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, “রাম জন্মভূমি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায় প্রমাণ করে, আমাদের ভবিষ্যৎ সুন্দরতর হতে পারে। অতীতকে নিয়ে পড়ে থাকলে চলবে না। অনেকে আশঙ্কা করেছিলেন, অযোধ্যা নিয়ে রায় বেরোনর পরে দেশে অশান্তি সৃষ্টি হবে। কিন্তু দেশের জনগণ প্রমাণ করেছেন, সেকথা মিথ্যা।”
নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইনে বলা হয়েছে, পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানে ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার অমুসলিমদের ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। গত বুধবার ওই বিল মন্ত্রিসভায় পাশ হয়।
আগামী সপ্তাহে তা সংসদে পেশ করা হবে। প্রধানমন্ত্রী এদিন ওই বিলটির নাম না করে বলেন, “প্রতিবেশী দেশগুলিতে শত শত মানুষ নিপীড়িত হচ্ছেন। ভারতমাতার প্রতি তাঁদের আস্থা আছে। তাঁদের জন্য ভারতের নাগরিকত্ব পাওয়ার রাস্তা খুলে দেওয়া হচ্ছে। এতে তাঁদের ভবিষ্যতে ভালো হবে।”
জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা রদ করা সম্পর্কে তিনি বলেন, “রাজনৈতিকভাবে ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন ছিল। কিন্তু এর ফলে ওই অঞ্চলে উন্নয়ন হবে।” অন্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সরকার যত দ্রুত মানুষের ব্যক্তিগত জীবন থেকে বিদায় নেয় ততই ভালো। উজ্জ্বল ভবিষ্যতের স্বার্থে সরকারের উচিত কেবলমাত্র মূল ইস্যুগুলি নিয়ে মাথা ঘামানো।”